গোমতি নদীতে তলিয়ে গেল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ২০ আগস্ট৷৷ গোমতি নদীতে তলিয়ে গেল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী৷ দাদুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মর্মান্তিক এই ঘটনায় গোমতি জেলার উদয়পুরের রাজনগরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক খুঁজাখুঁজির পরও তাঁর দেহ উদ্ধার হয়নি৷ আগামীকাল সকালে ফের এনডিআরএফ-র জওয়ানরা নদীতে তল্লাশি চালাবেন৷


উদয়পুরের মহকুমাশাসক অনিরূদ্ধ রায় জানান, আগরতলার শিবনগর লোটাস ক্লাব সংলগ্ণ এলাকার বাসিন্দা সুব্রত পালের একমাত্র কন্যা সঙ্গীতা পাল (১২) মা মিনতি পালের সাথে গোমতি জেলার অন্তর্গত উদয়পুরের রাজনগরে দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল৷ সঙ্গীতা আগরতলার তুলসীবতি বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল৷ তিনি জানান, আজ দুপুর সোয়া দুটা নাগাদ গোমতি নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় সঙ্গীতা৷ নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি সঙ্গীতা, মনে করছেন তাঁরা৷


মহকুমাশাসকের বক্তব্য, খবর পেয়ে দমকল কর্মী এবং এনডিআরএফ-এর উদ্ধারকারী দল ছুটে যান৷ দমকল বিভাগের ডুবুরিরা নদীর বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়েছেন৷ তাছাড়া এনডিআরএফ-এর জওয়ানরাও নদীতে তল্লাশি করেছেন৷ কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ তিনি বলেন, তাঁর দেহ বাংলাদেশে ভেসে যেতে পারে, এই অনুমানের ভিত্তিতে মহারানি এলাকায় ব্যারেজ বন্ধ রাখা হয়েছে৷ কিন্তু, সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ তাঁর দাবি, সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আলো কম ছিল, ফলে নদীতে তল্লাশি চালানো মুশকিল হয়ে পড়ে৷ তাই এনডিআরএফ-এর জওয়ানরা আগামীকাল সকাল থেকে পুনরায় তল্লাশিতে নামবেন৷


তিনি জানান, তল্লাশি অভিযানে এসডিপিও হিমাদ্রি প্রসাদ দাস এবং আরকেপুর থানার ওসি প্রণব সেন তাঁর সাথে তদারকিতে ছিলেন৷ তিনি বলেন, ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধারে সবরকম চেষ্টা করা হবে৷
এদিকে, একমাত্র কন্যা নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মা মিনতি পাল৷ বেড়ানোর আনন্দ এভাবে অবসাদে পরিণত হবে তা কেউ ভাবেনি৷ খবর পেয়ে, কিশোরীর বাবা সুব্রত পাল আগরতলা থেকে ছুটে এসেছেন৷ তিনিও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন৷ শুধু অপেক্ষা করছেন, অন্তত মেয়ের নিথর দেহ উদ্ধার হোক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *