হেপাটাইটিস মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ আগস্ট ৷৷ হেপাটাইটিস মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরা৷ রবিবার আগরতলা টাউন হলে সংগঠনের ষোড়শ বার্ষক রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা৷ উপস্থিত ছিলেন হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশান অব ত্রিপুরার সভাপতি ড. প্রদীপ ভৌমিক সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা৷ হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশান অব ত্রিপুরার ষোড়শ রাজ্য সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, সবাইকে সুস্থ রাখতে হলে স্বাস্থ্য আন্দোলন প্রয়োজন৷ এজন্য সরকারি প্রয়াসই যথেষ্ট নয়৷ বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও সহযোগিতার হাত আরও সম্প্রসারিত করতে হবে৷ এক্ষেত্রে হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরা রাজ্যকে হেপাটাইটিস মুক্ত করার জন্য যে বিরামহীন প্রয়াস জারি রেখেছে তাতে রাজ্যের জনগণ দারুণভাবে উপকৃত হচ্ছেন৷

রাজ্যকে হেপাটাইটিস মুক্ত করতে হলে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, সবাইকে সুস্থ রাখতে হলে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি অন্যান্য উদ্যোগীদেরকেও এ ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এগিয়ে আসতে হবে৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে যে কর্মসূচি গ্রহণ করতে পরামর্শ দিয়েছেন তা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও সপয়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ সমাজ এবং সরকার যখন একসাথে মিলে কাজ করে তখনই সর্বাধিক সাফল্য আসে বলেও মনে করেন উপমুখ্যমন্ত্রী৷ প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সরকারি অনুষ্ঠান বা কোন কর্মসূচিকে জনকল্যাণে অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি হিসেবে পরিগণিত করতে হবে৷ মানুষের মধ্যে প্রচলিত একটি ধারণা রয়েছে সরকারি অনুষ্ঠানে তেমন গুরুত্ব নেই৷

এই হীন মানসিকতা ত্যাগ করতে আহ্বান জানিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী৷ ব্রিটিশ আমলের ধ্যান ধারণা ছেড়ে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে৷ উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, অনেকেই সরকারি সুকল কিংবা সরকারি হাসপাতালকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না৷ অথচ এইসব পরিষেবা জনগণের জন্যই করে থাকে সরকার৷ এইসব পরিষেবার প্রতি জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে৷ পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বাড়াতে হবে৷ সচেতনতার অভাবেই সরকারি কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আজও ভ্রান্ত ধারণা বিরাজমান বলে অভিমত ব্যক্ত করেন উপমুখ্যমন্ত্রী৷

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রতিটি মানুষই সুস্থ থাকতে চায়, ভাল থাকতে চায়৷ কিন্তু কিভাবে ভাল থাকতে পারবে সুস্থ থাকতে পারবে তা অনেকেই জানেন না৷ এই ঘাটতি পূরণের জন্যই সচেতনতা বাড়াতে হবে৷ সচেতনতাই সুস্থতার অন্যতম সমাধান সূত্র বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশান অব ত্রিপুরা একটানা ১৬ বছর ধরে রাজ্যকে হেপাটাইটিস মুক্ত করার জন্য যে প্রয়াস জারি রেখেছে তা আগামীদিনে আরও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ হিসেবে জনগণকে উপহার দেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন উপমুখ্যমন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *