কদমতলা, ১৭ আগস্ট (হি.স.) : শুক্রবার রাত প্রায় সাতটা নাগাদ অসমের সীমান্তবর্তী উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানাধীন ঝেরঝেরি গেটে যে অল্টো গাড়ি আটক করে নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ, সেই নেশাদ্রব্য ও আটককৃত ব্যক্তিটি কোথায়? কেন পুলিশ বিষয়টিকে আড়াল করতে চাইছে? পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে এমনই প্রশ্ণ তুলেছেন এলাকার জনতা৷

প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যারাতে একটি নম্বর বিহীন মারুতি অল্টো গাড়ি থেকে এক কার্টুন নেশা সামগ্রী উদ্ধারের পাশাপাশি এক যুবককে আটক করেছিল পুলিশ৷ এলাকাটি কদমতলা থানার অন্তর্গত হলেও কিন্তু, ধৃত যুবক ও গাড়িটিকে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়নি৷ ধর্মনগর থানা, পুলিশ সুপারের অফিসেও নিয়ে যাওয়া হয়নি৷ তা-হলে কী পুলিশ গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে? উঠেছে প্রশ্ণ৷
তাঁরা জানান, ধর্মনগর থানার কর্তব্যরত এক কনস্টেবল অসম থেকে নেশা সামগ্রী রাজ্যে নিয়ে আসার সময় হাতেনাতে নেশাদ্রব্য-সহ যুবকটিকে ধরেন৷ পুলিশের হাতে এ-সব আটকের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে, অথচ কোনও মামলা নেই৷ কদমতলা থানা কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অজ্ঞাত৷ কদমতলা এবং ধর্মনগরের সচেতন নাগরিকরা জানতে চেয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকে আটক করা হয়েছিল? মারুতি অল্টো কারটি কার ছিল? যে কার্টুনটি পাওয়া গেছে তার মধ্যে কী ছিল? এ ব্যাপারে তাঁরা রাজ্যের গৃহ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী যদি বিষয়টি সরাসরি তদন্ত করেন তা-হলে জেলা পুলিশের শীর্ষ থেকে অধস্তন কর্মীদের মুখোশ খুলে যাবে দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা৷

