নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ আগস্ট৷৷ আগরতলা শহরকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট কয়েকটি রাস্তায় আজ, শুক্রবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ দিনের নির্দিষ্ট সময় কর্ণেল চৌমুহনি থেকে উত্তর গেটে যাওয়ার রাস্তাটি একদিকে যাওয়ার জন্য খোলা থাকবে৷ তাছাড়া, লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির থেকে টাউন হল হয়ে উত্তর গেট পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটি সকাল-সন্ধ্যা একদিকে যান চলাচলে খোলা থাকবে৷ শুধু তা-ই নয়, ওই সময় রাস্তার দুই ধারে কোনও গাড়ি পার্কিং করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷
এ-বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ সুপার পিনাকী সামন্ত জানিয়েছেন, আগরতলা শহরে যানজট প্রচণ্ড বেড়েছে৷ বিশেষ করে অফিস টাইমে আগরতলা শহরে যানজট মোকাবিলা করতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খাচ্ছেন৷ তাই, নির্দিষ্ট রাস্তায় দিনের নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষামূলকভাবে যান চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ১৬ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯-টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্ণেল চৌমুহনি থেকে উত্তর গেট পর্যন্ত একদিকে যান চলাচল করতে পারবে৷ তেমনি, বিকেল ৫-টা থেকে সাড়ে ৬-টা পর্যন্ত উত্তর গেট থেকে কর্ণেল চৌমুহনি পর্যন্ত একদিকে যান চলাচল করতে পারবে৷ তিনি বলেন, এছাড়াও লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির থেকে টাউন হল হয়ে উত্তর গেট পর্যন্ত রাস্তা সকাল ৯-টা থেকে সন্ধ্যা ৭-টা পর্যন্ত একদিকে যান চলাচল করতে পারবে৷ সেক্ষেত্রে উত্তর গেট এবং টাউন হল-এর সামনে নো এন্িন্ট বোর্ড লাগানো থাকবে৷ কারণ, ওই রাস্তা দিয়ে কোনও গাড়ি লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের দিকে আসতে পারবে না৷
পিনাকী সামন্ত বলেন, আজ সকাল থেকেই অনেক গাড়ি এবং বাইক চালক ভুল করে নো এন্িন্ট দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন৷ তাঁদের নতুন সিন্ধান্তের বিষয়ে বোঝানো হয়েছে৷ তাতে, রাস্তায় ভিড় সামলাতে ট্রাফিক পুলিশের কিছুটা হিমশিম খেতে হয়েছে৷ তাঁর কথায়, এই পদক্ষেপ পরীক্ষামূলকভাবে নেওয়া হয়েছে৷ তাতে, জনসাধারণের কী কী অসুবিধা হচ্ছে কিংবা রাস্তায় যানজট কতটা মুক্ত করা যাচ্ছে, সে-বিষয়ে ধারণা মিলবে৷ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন এই পদক্ষেপ আগরতলা শহরে যানজট মোকাবিলায় সদর্থক ভূমিকা নেবে৷
এদিকে, নতুন পদ্ধতি মেনে চলাচলে যান চালকরা আজ কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, আগরতলা শহরে যান চলাচলে নির্দিষ্ট রাস্তায় পরীক্ষামূলকভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সে-বিষয়ে সমস্ত শহরবাসীকে সঠিকভাবে জানানো উচিত ছিল৷ শুধু তা-ই নয়, মফসসল থেকে যাঁরা আগরতলায় কাজের জন্য আসেন তাঁদের কাছেও এই সংবাদ পৌঁছানো করকার ছিল৷ এ-ক্ষেত্রে ট্রাফিক দফতর রাজ্যবাসীর কাছে এই খবর পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে৷ ফলে, একাংশ যান চালক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন৷