![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/DSC_0276-1-1024x683.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ আগস্ট৷৷ শহর কাঁপিয়ে আজ মিছিল করলেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা৷ তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও ওই মিছিলে অংশ নিয়েছেন৷ মূলত, শিক্ষকতার চাকরি বহাল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে গণ-ডেপুটেশন দেওয়ার মিছিল করেন তাঁরা৷ কিন্তু, আগাম অনুমতি না নেওয়ায় তাঁদের সার্কিট হাউসে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে পুলিশ আটকে দেয়৷ ফলে, সেখানেই তাঁরা ধরনায় বসে যান৷ তাঁদের ধরনার ফলে এই রাস্তায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে৷ দীর্ঘক্ষণ ধরনার পর সদর মহকুমাশাসকের কাছে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দাবি সনদ তুলে দেন৷ বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ওই রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়৷
উচ্চ আদালতের রায়ে ত্রিপুরায় ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টও ওই রায় বহাল রেখেছে৷ ফলে, ত্রিপুরা সরকার তাঁদের প্রয়োজনের তাগিদে আদালতের অনুমতিতে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিযুক্তি দিয়েছে৷ ২০২০ সালের ৩১ মার্চ অ্যাডহক শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ সমাপ্ত হয়ে যাবে৷ ফলে, তাঁরা ঘোর অনিশ্চিয়তায় দিন কাটাচ্ছেন৷ তাই আজ তাঁরা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে গণ-ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য মিছিল সংগঠিত করেন৷
১০৩২৩ শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি বিমল সাহা বলেন, আগামী বছর ৩১ মার্চ আদালতের রায় অনুযায়ী তাঁদের চাকরির মেয়াদ সমাপ্ত হয়ে যাবে৷ ফলে, তখন তাঁরা পরিবার প্রতিপালন কীভাবে সেই চিন্তায় তাঁদের রাতের ঘুম উবে গিয়েছে৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনে চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষকের বিরাট অবদান রয়েছে৷ তা এখন অস্বীকার করার সুযোগ নেই৷
তিনি জানান, বিজেপির ভিজন ডকুমেন্ট অনুযায়ী সংবিধান মেনে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের চাকরির স্থায়ী সমাধান, যাঁদের চাকরি ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে তাঁদের স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে নিযুক্তি, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যকে ডাই-ইন-হারনেসে চাকরি এবং অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো ছুটির সুবিধা প্রদান করার দাবিতেই আজ গণ-ডেপুটেশন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল৷
এদিকে, আগাম অনুমতি না নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ তাঁরা পাননি৷ ফলে, মিছিল করে সার্কিট হাউস এলাকায় তাঁদের পুলিশ বাধা দেয়৷ তাতে তাঁরা সেখানেই ধরনায় বসে পড়েন৷ বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত তাঁরা সেখানে ধরনা প্রদর্শন করেন৷ প্রশাসনের তরফে শিক্ষামন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রীর সাথে দেখা করার অনুরোধও তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ অবশেষে সদর মহকুমাশাসকের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দাবি সনদ তুলে দিয়েছেন তাঁরা৷ তাঁদের ধরনার ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল৷ তাতে, সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন৷