ক্ষুধার পেট বচনে ভরে না, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ মানিক সরকারের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ আগস্ট৷৷ উপজাতি যুব সমাজকে অর্জিত অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে আন্দোলনে সামিল হওয়ার পরামর্শ দিলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷ সোমবার আগরতলা টাউন হলে উপজাতি যুব ফেডারেশনের বিশেষ কেন্দ্রীয় কনভেনশনে উদ্বোধন করে তিনি এই আহ্বান জানান৷ ক্ষুধার পেট বচনে ভরে না-বললেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷ সোমবার উপজাতি যুব ফেডারেশনের বিশেষ কেন্দ্রীয় কনভেনশানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন এই রাজ্যে আবেগে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি৷ সে আবেগ বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনা৷ পেটে যখন ক্ষুধা লাগে তখন খাবার না পেলে আবেগ শেষ হয়ে যায়৷


বর্তমান সরকার রাজ্যের জনগনের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা-স্বাস্থ্য অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলি সুরক্ষিত করতে পারছেনা৷ বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৬ মাস অতিক্রান্ত হতে না হতেই রাজ্যের জনগন এসব বিষয় স্বীকার করতে শুরু করেছেন৷ তারা এখন বলছেন বিজেপিকে ক্ষমতায় এনে তারা ভুল করেছেন৷ বিজেপিকে এই ভুলের মাশুল গুণতে হবে উল্লেখ বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷ উপজাতি যুব ফেডারেশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন সংগঠন আরো চাঙ্গা করতে হবে৷ ধীরে ধীরে আন্দোলন মজবুত করতে হবে৷ হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যেতে হবে৷ দৈনন্দিন দিনে বেঁচে থাকার অধিকার রক্ষায় সকলকে আন্দোলনে সামিল হতে হবে৷


অর্জিত অধিকার যাতে কেড়ে নিতে না পারে সেজন্য উদ্যোগী হতে হবে৷ এ ধরনের যেকোনো প্রয়াসকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সামিল হতে হবে৷ প্রসঙ্গক্রমে, বিরোধী দলনেতা আরো বলেন ভারতবর্ষের অর্ধেক মানুষও বিজেপিকে ভোট দেয়নি বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার কেন্দ্রের যে বাজেট তৈরী করেছে তাতে তিনি প্রতিক্রিয়াশীল বাজেট বলে উল্লেখ করেন৷ কেন্দ্রীয় বাজেটে জনকল্যানে কোন কিছু নেই৷ পঁুজিপতি ও বড়লোকদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার এ ধরনের বাজেট তৈরী করেছেন বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি অরো বলেন বিজেপি ওইসব পঁুজিপতি ও বড়লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছে৷ জয়ী হওয়ার পর পঁুজিপতি ও বড়লোকদের সেই টাকা শোধে আসলে মিটিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই ধরনের বাজেট তৈরী করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷


উপজাতি যুব ফেডারেশনের বিশেষ কেন্দ্রীয় কনভেনশনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এডিসির মুখ্য কার্যনির্বাহ সদস্য রাধাচরন দেববর্মা, প্রাক্তন সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী, প্রাক্তন বনমন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া এবং যুব ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *