শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে অরুণ জেটলির

নয়াদিল্লি, ১১ আগস্ট (হি.স.) : ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির | রবিবার এ কথা জানানো হয়েছে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর পক্ষ থেকে।

শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারনে শুক্রবার নয়াদিল্লির এইমসে ভর্তি করা হয় অরুণ জেটলিকে | কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ-তে চিকিত্সাধীন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে এখনও আইসিইউ-তেই রাখা হয়েছে বলে রবিবার জানানো হয়েছে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর পক্ষ থেকে। তবে ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার সকালে হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনুভব করেন অরুণ জেটলি৷ সঙ্গে সঙ্গে এইমসে ভরতি করা হয় তাঁকে৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, কার্ডিওলজি বিভাগে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরাও তাঁকে দেখছেন। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি তেমন জটিলতার কিছু নেই। কেবলমাত্র চেক আপের জন্যে তাঁর এবারের হাসপাতাল যাত্রা। তবে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ৷ ওইদিনই তাঁকে দেখতে এমস পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । এইমসে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও৷ গতকাল শনিবার তাঁকে দেখে আসেন উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু |

অরুণ জেটলির স্বাস্থ্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রে জানা গিয়েছে, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, কার্ডিয়োলজিস্ট এবং নেফ্রোলজিস্ট-সহ একাধিক চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। জেটলির অসুস্থ হওয়ার খবর শুনেই দিল্লি ফিরে আসেন এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি ভিয়েতনামে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই চিকিৎসা চলছে অরুণ জেটলির।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন অরুণ জেটলি৷ ২০১৮ থেকে কিডনি সমস্যা থেকে ভুগতে থাকেন তিনি৷ ডায়ালিসিস শুরু হয়৷ গতবছর কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার জন্য উড়ে যাওয়ায় লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেছিলেন রেলমন্ত্রী তথা তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল । মোদী সরকারের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা গঠনের আগে তাঁকে সামিল না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন অরুণ জেটলি। তাঁকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। দলের হয়ে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি৷ অর্থমন্ত্রকে তাঁর কার্যকালে জিএসটি ও নোটবন্দির মতো বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *