![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/DSC_8938-1024x683.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ আগস্ট৷৷ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে বলে আগরতলায় সরব হয়েছে বিশ্বহিন্দু পরিষদের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটি৷ তাঁদের অভিযোগ, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রতিদিন হিন্দুদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন হচ্ছে৷ এর ফলে সে-দেশে বাস্তুভিটে ফেলে বহু হিন্দু পরিবার পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে, পাশাপাশি হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন মন্দির, প্রার্থনাগৃহ ইত্যাদি ধবংস করে দিচ্ছে সংখ্যাগুরু মৌলবাদীরা৷ অবিলম্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জানমাল এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে৷
এই সব দাবি ভিত্তিতে বুধবার বিশ্বহিন্দু পরিষদের ত্রিপুরা পশ্চিম জেলা কমিটির সদস্য-সদস্যারা এক মিছিল করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন৷
এদিন সংগঠনের সদস্যরা রাজধানীর কৃষ্ণনগরে অবস্থিত তাঁদের কার্যালয় গীতা ভবনের সামনে থেকে মিছিল করে রাজধানীর বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে কুঞ্জবন এলাকায় বাংলাদেশ ভিসা অফিসের সামনে আসেন৷ মিছিল থেকে এক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ভিসা অফিসে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে লেখা দুই দফার দাবি সনদ সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমার হাতে তুলে দেন৷ তাঁদের দুই দফা দাবি সনদে রয়েছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়া, তাঁদের জমিজমা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷
স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংগঠনের পশ্চিম জেলা কমিটির সংগঠন সম্পাদক পার্থপ্রতিম নাথ অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় সে-দেশে ৩০ শতাংশের বেশি হিন্দু ছিলেন৷ এর পর মাত্র কয়েক বছরে তা কমে ৯ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে৷ মৌলবাদীদের অকথ্য নির্যাতনের কারণে তা হচ্ছে৷ অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে৷ এর জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্যোগ নিতে হবে৷ না হলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আন্দোলন তীব্রতর করবে৷
এদিন বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রচুরসংখ্যক কার্যকর্তা অংশগ্রহণ করেছিলেন মিছিলে৷ নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গোটা বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন অফিস চত্বর ত্রিপুরা পুলিশ ও ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ান দিয়ে মোড়ে ফেলা হয়৷ তবে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করে স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে যান৷