কাঞ্চনপুরে বিএসএফ ফায়ারিং রেঞ্জ নিশ্চিত হয়নি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ আগস্ট৷৷ বিএসএফ রেঞ্জ নিয়ে কংগ্রেস পার্টির দ্বারা সস্তা রাজনীতি সবাই দেখেছে৷ বিএসএফ ফায়ারিং রেঞ্জ এর জায়গা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি৷ এই অবস্থায় কংগ্রেস পার্টি ভোট ব্যাঙ্কের লোভে বিরোধীতার সস্তা রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বিজেপির জনজাতি মোর্চার নেতাদের জানান যে কাঞ্চনপুরে বিএসএফ ফায়ারিং রেঞ্জ বানানো নিয়ে এখনও কোন নির্ণয় হয়নি৷ তিনি পার্টি নেতৃত্বকে অবগত করেন যে এই বিষয়ে এখনও কোন নির্ণয় নেওয়া হয়নি এবং বিষয়টি এখনও ফাইলবন্দী রয়েছে৷

ফায়ারিং রেঞ্জের জন্য জমি বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কাউর স্বার্থকেই অবহেলা করবেনা৷ তিনি বিজেপি জনজাতি মোর্চার প্রতিনিধি দলকে সুনিশ্চিত করে বলেন যে যখনই বিএসএফ ফায়ারিং রেঞ্জের জমি নিয়ে নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত হবে তখন সাধারন জনগণের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ কাঞ্চনপুরে বিএসএফ ফায়ারিং রেঞ্জকে নিয়ে কংগ্রেস যে বিবাদ সৃষ্টি করছে তা অনর্থক৷ এখনও এই বিষয়ে কোন মঞ্জুরি হয় নি৷


শোনা যাচ্ছে যে কংগ্রেসের এই সস্তা রাজনীতির জবাব দেওয়ার জন্য বিজেপি কোমর বেঁধে তৈয়ারি করছে৷ বিজেপি দল কংগ্রেস পার্টির এই কুচক্র থেকে জনতাকে সতর্ক থাকার জন্য আপীল করেছে৷ কংগ্রেস এবং বাম দলগুলির ইহা পরম্পরা হয়ে গেছে৷ যখনই কোন নির্বাচন আসে তখনই এরা জনজাতিদের ভাগ করতে এবং উত্তেজিত করতে ব্যস্ত হয়ে পরে৷ রাজ্যের বিজেপি-আইপিএফটি সরকার প্রদেশের সর্বাঙ্গীন বিকাসের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ৷

পার্টির এক বরিষ্ঠ নেতার অনুসারে কংগ্রেস পার্টি মিথ্যার সাহারা নিয়ে জনজাতি অংশের মানুষের ভাবনাকে উত্তেজিত করতে ব্যস্ত৷ এই দলের নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসিদ্ধির লক্ষ্যে নির্বাচনের সময় পুইলা জাতি উলো পার্টির স্লোগান উঠায়৷ এরপর নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে লেগে পরে৷ কংগ্রেস সিপিএম এর মুখোশমাত্র, এই কথা মনে করিয়ে দিয়ে পার্টি রাজ্যবাসীকে সজাগ থাকতে পরামর্শ দিয়েছে৷ পুইলা জাতি উলো পার্টি আর তিপ্রাল্যান্ডের মত দাবিগুলির মাধ্যমে সরাসরি জনজাতি সমাজকে উত্তেজিত করে এই দুইটি পার্টি রাজ্যে তাদের লাভের উদ্দেশ্যসাধন করে চলছে৷


একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্র সরকার জম্মু-কাশ্মীর এর ঐতিহাসিক ভুল সুধরানোর মাধ্যমে দেশকে একসূত্রে বাঁধার চেষ্টা করছেন৷ আর অন্যদিকে কংগ্রেস আর তার বি টিম সিপিএম, মিথ্যা ইস্যুর দ্বারা জনজাতি সমাজের জনগণের মনোভাবনাকে বিচলিত করে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণে ব্যস্ত হয়ে আছে৷ জনজাতি সম্প্রদায়ের নামে এখন পর্যন্ত রাজনীতি করে আসা নেতারা বিদেশে এবং ভিনরাজ্যে গিয়ে আনন্দ ফুর্তি করে৷ জনতার এই নেতাদের আনন্দ ফুর্তির জন্য ব্যয় হওয়া খরচের হিসাবও চাওয়া উচিত৷ আগামী দিনগুলিতে বিজেপির জনজাতি মোর্চার কার্যকর্তারা সাধারন জনগণের মাঝে গিয়ে কংগ্রেস আর বামদলের আসল চেহারা তুলে ধরবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *