থানার নাকের ডগায় দুঃসাহসিক চুরি লুট কয়েক লক্ষ টাকার অলংকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৪ আগস্ট৷৷ আবারো কদমতলা থানাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কালি বাড়িতে নিশিকুটুম্বদের দুঃসাহসিক চুরি কান্ড৷ কদমতলা সার্বজনীন বড় কালীবাড়িতে চোরের হানা৷ নগদ অর্থ সহ কালী মায়ের মূর্তিতে থাকা প্রায় ৩ লক্ষ টাকার সোনা ও রুপা নিয়ে যায় নিশিকুটুম্বদের দল৷ কদমতলা থানা থেকে মাত্র ৫০/৬০ মিটার দূরে কালী মন্দিরে চোরের সাফাই অভিযান৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,উত্তর জেলায় কদমতলী থানাধীন ট্রাফিক পয়েন্টের পাশে কদমতলা সার্বজনীন বড় কালীবাড়ি মন্দির৷ অনেক পুরনো,ঐতিহ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ এই কালীবাড়ি মন্দির৷ কালী মন্দিরে প্রতিদিন মায়ের পূজার্চনা হয়ে থাকে৷


তাই স্থানীয় অভিজিৎ ভট্টাচার্য নামে এক যুবক প্রতিদিন মায়ের পুজোর ফুল সংগ্রহ করে মন্দিরে দিয়ে যায়৷ প্রতিদিনের মত আজও সকালবেলা ওই যুবক মায়ের পুজোর ফুল নিয়ে মন্দিরে এসে দেখতে পায় মায়ের মন্দিরের ভেতরের জিনিসপত্র,কাপড়চোপড় সব এলোমেলো৷ মায়ের শরীরের সোনা রুপার অলংকার কোন কিছুই নেই৷সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবক মন্দির কমিটি ও মন্দিরের পুজারীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে উনারা তড়িঘড়ি মন্দিরে ছুটে আসেন৷মন্দির কমিটি ও মন্দিরের পূজারী কালী মন্দিরে এসে দেখতে পান কালী মন্দিরের পূর্ব দিকে কাঠের দরজার তালা ভাঙ্গা ও দরজাটি খোলা৷কালী মায়ের মন্দিরের ভেতরের সবকিছু এলোমেলো৷নেই সোনা রূপার অলংকার৷ পূজোর বাসন পত্র নাঠ মন্দিরে ছড়ানো ছিটানো৷


খবর দেওয়া হয় কদমতলা থানায়৷ খবর পেয়ে কদমতলা থানার এএসআই সঞ্জীব সরকার পুলিশ বাহিনী নিয়ে কদমতলা কালী মন্দির ছুটে আসেন ও মন্দিরে এসে চুরির ঘটনাটি সরজমিন প্রত্যক্ষ করেন৷ এদিকে কদমতলা সার্বজনীন বড় কালীবাড়ীর মন্দির কমিটি ও পূজারী জানান, গতকাল রাতের আধারে চোরের দল মন্দিরের পূর্ব দিকের দরজার তালা ভেঙ্গে মন্দিরে প্রবেশ করে এবং মায়ের মন্দিরের ভেতরে থাকা স্বর্ণের একটি চেইন, লকেট, হাতের দুটি বালা, রুপার একটি চেইন, ৩ জোড়া নূপুর নিয়ে গেছে৷ মন্দিরে থাকা নগদ অর্থ ৩৫০০ টাকাও নিয়ে গেছে চোরের দল৷ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার সোনা রুপা ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছে চোরের দল৷


তাছাড়া মন্দিরের ভেতরে থাকা পূজোর বাসন পত্র সহ কাপড়-চোপড় যত্রতত্র এলোমেলো করে ফেলে রেখেছে৷ মন্দির কমিটি ও মন্দিরের পূজারী আরো জানান, এই নিয়ে লাগাতর তিনবার কদমতলা সার্বজনীন কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা সংঘটিত হলো৷ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে কদমতলা থানায় একটি চুরির মামলা রুজু করা হয়েছে৷ এদিকে আশ্চর্যের বিষয় হলো কদমতলা থানা থেকে মাত্র ৫০/৬০ মিটার দূরে অবস্থিত কদমতলা সার্বজনীন বড় কালীবাড়ি মন্দির৷কদমতলা থানার নাকের ডগায় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও চোরের হাত থেকে রক্ষা পেলনা৷

সুতরাং কদমতলা থানার রাতে টহলদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু সচল রয়েছে তা আবারো প্রশ্ণচিহ্ণের মুখে ফেলে দিলো এই দুঃসাহসিক চুরি কান্ড৷এক কথার কদমতলা থানার পুলিশ বাবুদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চোরের দল এই দুঃসাহসিক চুরি কান্ড সংঘটিত করল৷ এখন দেখার বিষয় কদমতলা থানার পুলিশ চোরকে পাকড়াও করতে কতটুকু সক্ষম হয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *