নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জুলাই৷৷ পশুর খাদ্য এবং টিকা তৈরি করার চেষ্টা চলছে ৷ তাতে, ত্রিপুরার অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি হবে বলে দাবি করেন প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা ৷ তাঁর কথায়, পশুর খাদ্য এবং টিকা বহিঃরাজ্য থেকে আনতে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে৷ তার বদলে, ত্রিপুরায় ওই সামগ্রী উৎপাদন করা সম্ভব হলে প্রচুর টাকা সাশ্রয় হবে ৷
মঙ্গলবার আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে প্রাণীদের জন্য টিকা উৎপাদন শীর্ষক সেমিনারে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে বহিঃরাজ্য থেকে পশুখাদ্য এবং টিকা ক্রয় করছে ত্রিপুরা সরকার ৷ অথচ, অনেক ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রচুর জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ তাঁর মতে, প্রাণী রোগ প্রতিরোধ করা খুবই জরুরি ৷ বিশেষ করে গবাদি পশুর টিকাকরণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ৷ তাঁর বক্তব্য, ত্রিপুরাকে দুগ্দ উৎপাদনে স্বয়ম্ভর করে তোলার ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে গবাদি পশুর টিকাকরণে গুরুত্ব দিতে হবে৷ কারণ, গবাদি পশুর মৃত্যু ঠেকাতে না পারলে লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে না ৷
তিনি জানান, প্রতি বছর প্রাণীদের টিকাকরণে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে৷ কিন্তু, ৮০ শতাংশ প্রাণীকে টিকাকরণের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে ৷ তাঁর দাবি, সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রচুর টিকা নষ্ট হয়ে যায়৷ ফলে, টিকাকরণের ১০০ শতাংশ লক্ষ্যে পৌঁছনো যাচ্ছে না ৷ তিনি জানান, ত্রিপুরায় টিকা উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের চিন্তাভাবনা চলছে৷ ওই কেন্দ্র স্থাপন হলে, ত্রিপুরায় উৎপাদিত টিকায় বছরে ৪৩ লক্ষ প্রাণীর টিকাকরণ সম্ভব হবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, এতে ত্রিপুরা সরকারের অন্তত ৩২ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে ৷
এদিন তিনি আরও জানান, ত্রিপুরায় পশুখাদ্য উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনেরও চিন্তাভাবনা চলছে৷ কারণ, প্রতি বছর বহিঃরাজ্য থেকে কোটি কোটি টাকার পশুখাদ্য ক্রয় করা হচ্ছে৷ তাঁর মতে, ওই টাকায় ত্রিপুরায় পশুখাদ্য উৎপাদিত হবে এবং রাজ্যের মানুষও উপকৃত হবেন৷ তাতে, ত্রিপুরার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে৷ তাই, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী সান্ত্বনা এই দুটি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন৷