নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জুলাই৷৷ নারিকেল কুঞ্জের বেহাল দশা, পর্যটকরা এসে হতাশ৷ সত্তরের দশকে ডুম্বুর বাঁধের উপর ডুম্বুর জলাশয়ের একটি দ্বীপে গড়ে উঠে নারিকেল কুঞ্জ৷ প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরোনো নারিকেল কুঞ্জটিকে আজও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেনি৷ যদিও বা বর্তমান সরকার ডুম্বুর জলাশয়ের মনোরম দৃশ্য ঘেরা নারিকেল কুঞ্জ দ্বীপটিকে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে ইতিমধ্যেই সেখানে নানা রকমের কাজ শুরু হয়েছে৷
পর্যটকরা এসে সেখানে যাতে করে বিনোদন করতে পারে তার জন্য গড়ে উঠছে আধুনিক মানের ঘরবাড়ি৷ কিন্তু একমাত্র নিরাপত্তার অভাবে সুন্দর ঘর বাড়ি গুলো কে বা কারা রাতের অন্ধকারে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে৷ ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কাচের জানালা থেকে শুরু করে বাথরুমের বিভিন্ন সরঞ্জাম গুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে৷
এমনকি শৌচালয়ের পাইপগুলো পর্যন্ত কেটে নিয়ে যাচ্ছে৷ এইভাবে সুন্দর ঘরবাড়িগুলো একমাত্র নিরাপত্তার অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ পর্যটকরা জানান সরকারি বিজ্ঞাপনে যেভাবে নারিকেল কুঞ্জের প্রচার করা হয়, বাস্তবে এর মিল খুঁজে পাওয়া যায় না৷ আগে নারিকেল কুঞ্জে যে পরিমাণ নারিকেল গাছ ছিল, বর্তমানে তার দশ শতাংশ গাছও নেই৷ যে কয়টা গাছ আছে এইগুলোও রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে৷ যুবা পর্যটকরা সরকারের কাছে দাবি রাখছেন নারিকেল কুঞ্জটিকে যেন টেন্ডারের মাধ্যমে যুবদের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ তাহলে পরে নারিকেল কুঞ্জের সঠিক নজরদারি থাকবে এবং পর্যটকদের ভীড় বাড়বে৷