BRAKING NEWS

১৪ বিদ্রোহী বিধায়কের যোগ্যতা খারিজ করলেন কর্ণাটকের স্পিকার

বেঙ্গালুরু, ২৮ জুলাই (হি. স.) : কর্ণাটকের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে নাটক চলছেই। আস্থা ভোটের ঠিক একদিন আগে রবিবার ১৪ বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস-জেডিএস নেতার বিধায়কের যোগ্যতা খারিজ করে দিলেন স্পিকার কে আর রমেশ। স্বাভাবিকভাবেই আর কংগ্রেস-জেডিএস জোটের সরকার গড়ার কোনও রাস্তাই খোলা থাকল না। আর একদিকে, সংখ্যালঘু সরকার গড়ার সম্ভাবনাও কমে গেল বিজেপির। রোশন বেইগ, আনন্দ সিং, এইচ বিশ্বনাথ, এস টি সোমাশেখর সহ মোট ১৪ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের পদ খারিজ হয়ে গেল এদিন। এই বিধায়কেরা ১৫তম বিধানসভার মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে লড়তে পারবেন না বলেও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন স্পিকার। 


গত শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। এদিকে আচমকাই আজ বেঙ্গালুরুতে স্পিকার রমেশ কুমার বললেন, “১৩ জনের বিধায়ক পদ বাতিল করা হয়েছে।” এমনকী, কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীমন্ত পাতিলেরও বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে। ১৪ জনের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের ১১ এবং জেডিএস-এর ৩ বিধায়ক। তাঁরা হলেন প্রতাপ জি পাতিল, বিসি পাতিল, এস হেব্বার, এসটি সোমশেখর, এম নাগরাজ, শ্রীমন্ত পাতিল এবং জেডিএস-এর এইচ বিশ্বনাথ, কে গোপালাইয়া, নারায়ণ গৌড়া। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২২৫ আসনের কর্ণাটকে মোট সদস্য সংখ্যা এই মুহূর্তে দাঁড়াল ২০৮। ওই সংখ্যার মধ্যে স্পিকার এবং মনোনীত সদস্যও রয়েছেন।

এর আগে এক নির্দল বিধায়কের পদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং ম্যাজিক ফিগার দাঁড়াচ্ছে ১০৫। এদিনের ঘোষণার পর স্পিকার কে আর রমেশ বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা আমাকে আগামীকাল আস্থা ভোটের তদারকি করতে বলেছেন। আগামী ৩১ জুলাই বাতিল হয়ে যাবে অর্থবিল। আমি সকল বিধায়ককে আস্থাভোটের অধিবেশনে উপস্থিত থাকার জন্য আবেদন করছি।” এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বললেন, “আমরা কোথায় পৌঁছেছি? পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমার ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে (কর্ণাটকের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে)। এই সমস্ত বিষয় আমাকে হতাশার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *