BRAKING NEWS

রাজ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত কারগিল বিজয় দিবস

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ জুলাই৷৷ সারা ভারতের সঙ্গে সংগতি রেখে শুক্রবার ত্রিপুরায় যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়েছে কারগিল বিজয়ের ২০-তম বর্ষপূর্তি৷ এদিন ত্রিপুরা রাজ্যের মূল অনুষ্ঠানটি হয় আগরতলার লিচুবাগান এলাকার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহিদ ভারতীয় বীর জওয়ান অ্যালবার্ট এক্কার স্মরণে নামাঙ্কিত পার্কের সেনা জওয়ানদের শহিদ বেদিতে৷ শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি পুস্পস্তবক দিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷ বিএসএফ-এর ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার্সের জওয়ানদের তরফে শহিদদের গার্ড অব অনার জানানো হয়৷


শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ভারত এমন একটি দেশ যে প্রথমে কারও সঙ্গে নিজে লড়াইয়ে যায় না৷ যদি কেউ আক্রমণ করে তবে যোগ্য জবাব দেয়৷ পাকিস্তান এমন একটি দেশ যারা স্বাধীনতার পর তিনবার ভারতে আক্রমণ চালিয়েছে৷ তৃতীয়বার কারগিলে আক্রমণ চালায় এবং তারা অনেক উপর থেকে আক্রমণ করে৷ এর পরও ভারতীয় বীর জওয়ানদের কাছে পাক হানাদারদের পরাজিত হতে হয়৷ কারগিল যুদ্ধে ভারতের যে সকল বীর জওয়ানরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের শ্রদ্ধা ও পরিবার পরিজনদের সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী৷


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কারগিল যুদ্ধে শহিদ বীর যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী তাঁদের স্মৃতিতে শহিদ বেদি তৈরি করেছেন৷ ভারত এমন একটি দেশ অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং নরেন্দ্র মোদীর মতো প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন যাঁরা সেনাদের সহায়তায় দেশকে সুরক্ষিত রেখেছেন, মত ব্যক্ত করেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিএসএফ-সহ অন্যান্য বাহিনীর অফিসাসারেরা উপস্থিত ছিলেন৷


অপরদিকে আগরতলার পোস্টফিস চৌমুহনি এলাকায় সেনা জওয়ানদের শহিদ বেদিতে কারগিল দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়৷ এখানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন পরিবহণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম জেলার জেলাশাসক সন্দীপ মহাত্মে-সহ অন্যান্যরা৷ বেসরকারি বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থার উদ্যোগেও অনুষ্ঠিত হয়েছে কারগিল বিজয় দিবস৷ এই উপলক্ষ্যে আজ সন্ধ্যায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *