BRAKING NEWS

রাজ্যে পালিত হচ্ছে জনজাতিদের পরম্পরাগত কের পূজা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুলাই৷৷ ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেরপূজা৷ এই উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের তরফে মঙ্গলবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে৷ পরম্পরগত কের পুজো উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷


ত্রিপুরার আদি জনজাতি অংশের মানুষ যুগ যুগ ধরে কের পূজা করে আসছেন৷ মূলত রোগব্যাধি দূর করার উদ্দেশ্যে প্রাচীনকাল থেকে এই পূজা প্রচলিত হয়ে আসছে৷ রাজ-আমলে রাজকোষের অর্থে উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণ ও পুরাতন আগরতলার চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে কেরপূজা হত, এখনও হয়৷ তবে এখন পূজার সকল খরচ আসে সরকারি কোষাগার থেকে৷

প্রতি বছর চতুর্দশ দেবতা মন্দিরের বাৎসরিক খার্চি উৎসব সমাপ্তির এক সপ্তাহ পর কের পূজা হয়ে থাকে৷ কের পূজার পুরোহিতকে বলা হয় চন্তাই৷ পূজা শুরুর আগে চন্তাই পূজা এলাকায় গণ্ডি এঁকে দেওয়ার পর তোপধবনীর মধ্য দিয়ে পূজার শুরু হয়৷ এই গণ্ডির মধ্যে যাঁরা প্রবেশ করেন তাঁরা দু-দিনের কের পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বের হতে পারেন না৷ আগে পূজার গণ্ডি বিশাল এলাকা জুড়ে করা হলেও এখন এর পরিসর ছোট করে পূজার চারপাশে সামান্য জায়গা জুড়ে নির্দিষ্ট গণ্ডি এঁকে দেওয়া হয়৷
কথিত আছে কের-এর গণ্ডিতে জন্ম নেই, মৃত্যুও নেই৷

তাই এই গণ্ডির ভেতরে অতিবৃদ্ধ বা গর্ভবতী মহিলাকে আসতে দেওয়া হয় না৷ আগে আগরতলা শহর জুড়ে কের পূজার গণ্ডি দেওয়া হত৷ তাই এই সময় অতিবৃদ্ধ বা গর্ভবতী মহিলাদের আগে থেকে অন্য এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হত৷ পূজার দিন পূজা শুরুর আগে কোনও বাড়িতে আগুন জ্বালানো হত না৷ পূজায় আগুন জ্বালানো হলে বাড়ি বাড়ি এই আগুন নিয়ে যাওয়া হত৷ এই আগুন জ্বালানো হয় শুকনো বাঁশের সঙ্গে বাঁশের বেত ঘষে৷ এখনও আগরতলার অনেক বাড়িতে আগুন নিয়ে যাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *