বৈদ্যুতিন চুল্লিতে নয়, অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী সিএনজিতে নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য হবে শীলা দীক্ষিতের

নয়াদিল্লি, ২১ জুলাই (হি.স.) : রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে দিল্লির প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের। তার আগে এদিন সকালে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত দেহ রাখা হয় তাঁর নিজামুদ্দিনের বাড়িতে। এরপর কিছুক্ষণের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কংগ্রেস সদর দফতরে। 
১৫ বছরের শাসনকালে শীলা দীক্ষিত যে দিল্লির ভোলবদলে দিয়েছেন, তা স্বীকার করেন বিরোধীরাও। বিশেষ করে রাজধানীর পরিবেশ দূষণ রোধে শীলা দীক্ষিত যেভাবে উদ্যোগী হয়েছিলেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে রাজধানীজুড়ে সবুজায়নের উদ্যোগ সত্যিই ছিল অনুকরণীয়।

পরিবেশ নিয়ে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এতটাই সচেতন ছিলেন যে তাঁর মৃত্যুর পরও পরিবেশের যেন বিরাট ক্ষতি হয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করে গিয়েছেন শীলা দীক্ষিত। তাঁর শেষকৃত্যে যাতে পরিবেশের ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করতেই সিএনজি অর্থাৎ কমপ্রেসড মিনারেল গ্যাসের মাধ্যমে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শীলা দীক্ষিত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে সিএনজির মাধ্যমেই তাঁর শেষকৃত্যের আয়োজন করছে দল। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই পরিবেশ দূষণ রুখতে মৃতদেহের শেষকৃত্যে সিএনজির ব্যবহার শুরু করেছিলেন শীলা। দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে সিএনজিতে শেষকৃত্যের ব্যবস্থাও তিনিই করেছিলেন। 


শনিবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে রাজনৈতিক মহলে। খোদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ টুইটারে লেখেন, “ওঁর হাতেই দিল্লির ভোল পালটে যায়। এ জন্য চিরদিন মানুষ ওঁকে মনে রাখবেন। ওঁর পরিবার এবং সহযোগীদের সমবেদনা জানাই।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “শীলা দীক্ষিতজির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। প্রাণবন্ত এবং অমায়িক ব্যক্তিত্বের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। দিল্লির উন্নয়নে ওঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ওঁর পরিবার ও সমর্থকদের সমবেদনা জানাই।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শোকবার্তায় স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, “তিনি যখন সাংসদ ছিলেন তখন সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী ছিলেন শীলা দীক্ষিত, তাঁর সঙ্গে সবসময়ই ভাল সম্পর্ক ছিল। এই ক্ষতিপূরণ হবে না।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, “কংগ্রেসের স্নেহভাজন কন্যা, ব্যক্তিগতভাবে যাঁর ঘনিষ্ঠ ছিলাম, সেই শীলা দীক্ষিতজির প্রয়াণে বিধ্বস্ত আমি। তিন দফায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গিয়েছেন। ওঁর পরিবার এবং দিল্লিবাসীকে সমবেদনা জানাই।”