নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ জুলাই৷৷ কুমারঘাটের নিদেবী এলাকায় এক নাবালিকা অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ এ ব্যাপারে অপহরণকারীর নামধাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হলেও ৫ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও পুলিশ অপহৃতা নাবালিকাকে উদ্ধার করতে পারেনি৷ গত বুধবার কুমারঘাট থানাধীন নিদেবী গ্রামের বাসিন্দা চন্দন চক্রবর্তীর ১৪ বছরের এক নাবালিকা কন্যাকে দিনে দুপুরে অপহরণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কুমারঘাটের নিদেবী এলাকায়৷ ঘটনায় অপহৃতা মেয়ের পরিবার অভিযোগের আঙুল তুলছেন পার্শ্ববর্তী ফটিকরায় তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইব্রাহিম খার গুনধর পুত্র বছর ২৭ এর জালাল খার দিকে৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ফটিকরায় তারাপুর এলাকার অভিযুক্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবক জালাল খা নিদেবী এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে সুপারির ব্যবসা করে আসছিল বেশ কিছুদিন ধরে৷ সেই সুবাদে এলাকার বাসিন্দা চন্দন বাবুর বাড়িতে ঐ অভিযুক্ত প্রায়ই তার মোবাইল ফোন চার্জ দিতে আসত কিন্তু এর পেছনে ছিল তার বদ উদ্দেশ্য৷ মোবাইল চার্জের নাম করেই সে চন্দনবাবুর মেয়েকে অপহরণের ফন্দি আটতে শুরু করে৷ অবশেষে সে তার পরিকল্পনা সফল করতে সক্ষম হয় গত বুধবার৷ অপহৃতার বাড়ির লোকের বক্তব্য গত দুপুরে তার বান্ধবীর বাড়ি যাবার নাম করে নাবালিকা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়৷ পেছনে ছিল অভিযুক্ত জালালের প্রলোভন৷ দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে হলেও বাড়ি আসেনি ঐ নাবালিকা মেয়েটি৷ শুরু হয় খোজাখুজি৷
অবশেষে মেয়ের বাড়ির লোকজন জানতে পারেন তাকে বাইকে করে অপহরণ করেছে জালাল খা৷ অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবকের বাড়ির লোকেদের দাবি জালালের বন্ধু ব্যাঙ্গালোরে কর্মরত বিপ্লব মালাকারের সাথে চন্দন চক্রবর্তীর মেয়ের দীর্ঘদিন ধরেই প্রণয়ের সম্পর্ক চলছিল৷ এদিকে বিপ্লব ও জালাল দু’জনে বন্ধু৷ তাই বিপ্লবের কাছে তার প্রেমিকাকে পৌঁছে দিতেই সে নিয়ে গেছে ঐ নাবালিকাকে৷ কিন্তু মেয়ে এবং বিপ্লবের পরিবার সূত্রের খবর এখনো পর্যন্ত নাবালিকাকে নিয়ে বিপ্লবের কাছে পৌঁছোয়নি জালাল৷ সাথে সাথেই অভিযোগ দায়ের করা হয় কুমারঘাট থানায়৷ নাবালিকার খোজে ময়দানে নামে পুলিশ৷ কিন্তু ঘটনার পাঁচদিন অতিক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তকে জালে তুলতে পারেনি পুলিশ৷ উপরন্তু দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘটনা হওয়ায় অভিযুক্তের বাড়িতে পুলিশ এবং টিএসআর দিয়ে নিরাপত্তা প্রদানে ব্যস্ত পুলিশ৷ নাবালিকা অপহরণের ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য পাশাপাশি পুলিশের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়েও উঠছে প্রশ্ণ৷