পাথারকান্দি (অসম), ১৩ জুলাই (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলায় পায়েস খেয়ে একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি ওই পরিবারের দুই শিশু-সহ নয়জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানা এলাকার দোহালিয়া-ফরিদকোণা গ্রাম পঞ্চায়েতের (জিপি) তিন নম্বর ওয়ার্ডে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্য ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে আমূল দুধ ও পায়সের নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গতকাল পাথারকান্দির দোহালিয়া দ্বিতীয় খণ্ডের-এর বাসিন্দা জনৈক রাজু বৈদ্য নামের যুবক পার্শ্ববর্তী সিন্দুকি বাজারের আলমাস উদ্দিনের (পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার) মুদি দোকান থেকে দুশো গ্রাম খোলা আমূল দুধ কিনে এনে বাড়িতে পায়েস তৈরি করেছিলেন। শনিবার সকালে ওই পায়েস পরিবারের সবাই খাওয়ার পর থেকে এক এক করে দশজন অসুস্থ হতে থাকেন। বমি, পাতলা পায়খানার সঙ্গে শুরু হয় নানান উপসর্গ। অবস্থা বেগতিক দেখে গ্রামের জনগণ অসুস্থদের তড়িঘড়ি পাথারকান্দি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।
কিন্তু অবস্থা সংকটজনক বলে অসুস্থ শ্যামলা শুক্লবৈদ্য (৬০), রাজু শুক্লবৈদ্য (৩৫), শুক্লা শুক্লবৈদ্য (৩০), রিপন শুক্লবৈদ্য (১৪), সুমিতা শুক্লবৈদ্য (১৫), প্রিয়াঙ্কা শুক্লবৈদ্য (১৩) এবং সুজাতা শুক্লবৈদ্য (৬)-কে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাছাড়া অল্পনা শুক্লবৈদ্য (৩৮), অমিতা শুক্লবৈদ্য (১৬) এবং রাজ শুক্লবৈদ্য (১)-কে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পাথারকান্দি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধধীন শ্যামলা শুক্লবৈদ্যের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে দোহালিয়া-ফরিদকোণা গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি দীপঙ্কর দেব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে হিন্দুস্থান সমাচার-কে জানান, ‘আমাদের ধারণা, আমূল দুধ বা রান্না করা পায়েসে কেউ পরিকল্পনা মাফিক একই পরিবারের সবাইকে প্রাণে মারার জন্য বিষ জাতীয় কিছু মিশিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ গোটা ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করলে আমাদের আশঙ্কা দূর হবে। যদি আশঙ্কা সত্য হয়, তা-হলে এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে শনিবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের শারীরিক খোঁজ নিয়েছেন পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের প্রতিনিধি পৃথ্বীশ দাস।