নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুলাই ৷৷ কর্মসংস্থান এবং যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্ণে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের দ্বারস্থ হলেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ ত্রিপুরায় পৃথক রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড এবং রেলওয়ে পুলিশ ফোর্সের আইজি অফিস গঠনের দাবিতে রেলমন্ত্রীর কাছে স্মারকপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি৷
পৃথক দুটি স্মারকপত্রে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক ত্রিপুরার সমস্যা এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলমন্ত্রীকে অবগত করেছেন৷ তাঁর মতে, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার মিলে এখন একত্রে কাজ করছে৷ তাতে জনগণ উপকৃত হচ্ছেন৷ তাঁর বক্তব্য, প্রকৃতপক্ষে ২০১৪ সালের পর থেকে কেন্দ্রের সহযোগিতায় রেল সারা ত্রিপুরায় সম্প্রসারিত হয়েছে এবং এখন বাংলাদেশের সাথেও যুক্ত হতে চলেছে৷ তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ত্রিপুরাবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে৷ সে-ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের প্রশ্ণেও ভারতীয় রেলের প্রতি মানুষের অনেক আকাঙ্ক্ষা রয়েছে৷ তিনি বলেন, সারা দেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে ভারতীয় রেলের৷ ফলে পূবর্োত্তর, বিশেষ করে ত্রিপুরা ভারতীয় রেলের অবদানে দারুণভাবে উপকৃত হবে, আশা প্রকাশ করেন তিনি৷
প্রতিমা ভৌমিক স্মারকপত্রে উল্লেখ করেছেন, ইউপিএ-১ এবং ইউপিএ-২ জমানায় পূবর্োত্তর সব দিক দিয়ে উপেক্ষিত হয়েছে৷ ফলে সারা দেশের তুলনায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে৷ তাঁর মতে, এই বঞ্চনার কারণে ত্রিপুরায় বেকারত্ব মারাত্মকভাবে বেড়েছে৷ ফলে, কর্মসংস্থানের প্রশ্ণে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় পৃথক রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠনের দাবি দীর্ঘদিনের৷ এই দাবি শীঘ্রই পূরণ করা হলে ত্রিপুরার পাশাপাশি অসমের বরাক উপত্যকা এবং মণিপুর ও মিজোরামের একাংশ উপকৃত হবে৷ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগরতলায় রেলওয়ের পৃথক রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠন করা হলে ত্রিপুরাবাসী ভীষণ উপকৃত হবেন৷ তাতে, বেকার সমস্যা সমাধানে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
এদিকে, রেলওয়ের পুলিশ ফোর্সের আইজি অফিস স্থাপন প্রসঙ্গে প্রতিমা ভৌমিক বলেন, ত্রিপুরায় রেল আন্তর্জাতিক সীমানা লাগোয়া৷ তাতে, রেল সংযোগের অপব্যবহারের প্রচণ্ড সম্ভাবনা রয়েছে৷ অবশ্য, ইতিমধ্যেই রেলের মাধ্যমে চোরাচালান বেড়ে গিয়েছে৷ তবে, রেল পুলিশের অতি সক্রিয়তায় প্রচুর চোরাচালান সামগ্রী উদ্ধার হচ্ছে৷ এমন-কি পাচারকারীরাও ধরা পড়ছে৷ তিনি বলেন, রেলের নেটওয়ার্ক সারা দেশে বিস্তৃত৷ তাই, রেলের নিরাপত্তা বিশেষভাবে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে৷
তাছাড়া, ত্রিপুরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় ঝঁকি বেড়ে যাচ্ছে৷ তাঁর বক্তব্য, ত্রিপুরায় বর্তমান রেল পুলিশের ক্ষমতা যথেষ্ট নয়৷ তাই, রেল পুলিশের আইজি অফিস আগরতলায় গঠন করা খুবই জরুরি৷
সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কাছে আশা প্রকাশ করে বলেন, ত্রিপুরার উন্নয়নে এবং অ্যাক্ট-ইস্ট পলিসির খাতিরে পৃথক রেল বোর্ড এবং রেল পুলিশের আইজি অফিস গঠনের দাবি মানবে কেন্দ্রীয় সরকার৷