নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৭ জুলাই ৷৷ সামান্য বৃষ্টিতেই স্তব্ধ আসাম আগরতলা আট নং জাতীয় সড়ক৷ নাজেহাল যাত্রী সাধারণ থেকে শুরু করে লরির চালকরা৷ নেই মহকুমা প্রশাসন থেকে রাস্তা সচল করার কোন উদ্যোগ৷ পর্যায়ক্রমে উত্তেজনা ছড়ায় তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন আঠারমুড়া পাহাড়ের জাতীয় সড়কে৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, রবিবার সকাল থেকে আঠারমুড়া পাহাড়ের মুঙ্গিয়াকামী থেকে সম্পূর্ণ পাহাড় তথা জিয়লছড়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়৷ পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়৷ বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় গাড়ি দূর্ঘটনায় পড়ে৷ ফলে গোটা পাহাড়ের জাতীয় সড়কে কয়েকশো গাড়ী আটকা পড়ে যায়৷ ঘটনা সকল দশটা থেকে ঘটলেও বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি৷
এদিকে, মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি৷ জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন আগে রাস্তা সংস্কারের নামে রাস্তার পাশে লাল মাটি রাস্তা বড় করার চেষ্টা করে৷ এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থাগুলি টাওয়ার এর কাজ করতে গিয়ে রাস্তার পাশের পাটি কেটে ফেলে৷ যার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গিয়ে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করেছে৷ ছোট বড় সব ধরনের গাড়ির চালকরা জীবনের ঝঁুকি নিয়ে চালাচ্ছেন৷ কিন্তু, এদিন যে অবস্থা হয়েছে রাস্তার তাতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে৷ এই ব্যাপারে এদিন দিনভর যান চালকরা জাতীয় সড়কে প্রশাসনকে দায়ী করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে৷ যদিও পুলিশ সেখানে পৌঁছায় কিন্তু, করার কিছুই ছিল না পুলিশের৷
জাতীয় সড়কের ৩৭ , ৪১, ৪২, ৩৮ ও ৩৯ মাইল এলাকায় ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে যান বাহন৷ এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে ধবস পড়া এলাকা পায়ে হেঁটে পাড় করে অন্যপ্রান্তে এসে গাড়িতে উঠতে হচ্ছে অনেক যাত্রীদের৷ অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাস্তার ধবস সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার দাবী উঠেছে৷
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বর্ষার মরশুমে জাতীয় সড়কের এই বেহাল অবস্থা হচ্ছে৷ এই ব্যাপারে প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই৷ তাতে ক্ষুব্ধ যান বাহানের চালকরা৷