নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ জুলাই ৷৷ সুপ্রিমকোর্টের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চাকুরিচ্যুত ১০,৩২৩ এডহক শিক্ষকদের চাকুরির নিশ্চয়তা দাবি জানিয়েছে ত্রিপুরা সরকারি ১০,৩২৩ এডহক পে শিক্ষক কর্মচারী সংগঠন৷ এই ইস্যুতে তারা আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছে৷
রাজ্যের ১০,৩২৩ এডহক পে শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ক্রমশ হাতছানি দিচ্ছে৷
বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ তাদের চাকুরির বৈধতা নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ায় এই মামলা শেষ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে৷ সুপ্রিমকোর্ট থেকেও ১০,৩২৩ শিক্ষককে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত চাকুরির সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে৷ এরপর তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে দিনাদিপাত করছেন সংশ্লিষ্ট চাকুরিজীবী ও তাদের পরিবার পরিজনরা৷
ত্রিপুরা সরকারি ১০,৩২৩ এডহক পে শিক্ষক কর্মচারী সংগঠন দফায় দফায় রাজ্য সরকারের কাছে তাদের চাকুরির নিশ্চয়তার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ধরনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি৷ তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে তাদের ভিসন ডকুমেন্টে ১০,৩২৩ কর্মচারীর চাকুরির নিশ্চয়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল৷ সে কারণেই তারা সরকারে আসার পর আশায় বুক বেঁধেছে ওইসব পরিবারগুলো৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি ঘটবে তা নিয়ে সন্দেহ কিন্তু পিছু ছাড়ছে না৷
কর্মচারী সংগঠনটি সুপ্রিমকোর্ট নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে৷ সংগটনের নেতৃবৃন্দ রবিবার আগরতলায় এক সভায় মিলিত হয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন৷ তারা রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দপ্তরের কাছে এ বিষয়ে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন৷ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বিমল সিন্হা অভিযোগ করেছেন চাকুরি প্রদানের ক্ষেত্রে তৎকালীন সরকার ভুল করেছে৷
সেই ভুল সরকারকে সংশোধন করতে হবে৷ এজন্য এইসব কর্মচারীরা কোনওভাবেই দায়ী নয় বলে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন৷ তারা তাদের চাকুরির নিশ্চয়তার দাবিতে অনড় রয়েছে৷ অবিলম্বে ১০,৩২৩ এডহক পে শিক্ষকদের চাকুরির নিশ্চয়তা না দিলে তারা বাধ্য হয়েই বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি৷ তবে তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, বর্তমান সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল হবে বলে সংগঠন মনে করে৷