BRAKING NEWS

লাইগেশন করার সময় মৃত্যু গর্ভবতী মহিলার উদয়পুরে তীব্র উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ৫ জুলাই ৷৷ লাইগেশন করাতে গিয়ে চিকিৎসকের হাতে মৃত্যু  হলো  পঁয়ত্রিশ বয়সী  এক গর্ভবতী মহিলার৷  মৃত  মহিলার নাম সোমা নমঃ দাস৷৷ বাড়ি  উদয়পুর  এক নং ফুলকুমারী  এলাকায়৷  স্বামী  বিশ্বজিত দাস   করণিক পদে এই  হাসপাতালেই চাকরিরত৷ সোমা পাঁচ মাসের অন্ত:সত্তা ছিলো৷ সোমার দুই মেয়ে৷বড় মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ও ছোট মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পাঠরত৷

সূত্র মারফত জানা যায়   মহারানী হাসপাতাল থেকে  গোমতী জেলা হাসপাতালে উনিশ  জন মহিলা লাইগেশনের জন্যে আসেন৷  লাইগেশন করানো হয় প্রতি শুক্রবার গোমতি জেলা   হাসপাতালে৷ লাইগেশন করানোর আগেই যাবতীয়  সব রকমের পরীক্ষা  নিরীক্ষা করানো হয়৷ পরীক্ষা নিরীক্ষার  পরই রুগীনিকে অপারেশনের থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়৷  বিকেল তিনটে নাগাদ সোমার  সিরিয়ালে ডাক পড়ে৷  অজ্ঞানের চিকিৎসক ( এনেস্থেসিয়া) ডাঃ প্রদীপ জমাতিয়া  রুগীনিকে দুটি ইনেকশন   নার্ভে পুশ করার পরেই অপারেশনের জন্য  ডঃ তানি ভট্টাচার্য মহিলার গোপনাংঙ্গে  বায়ু প্রবেশ  করতে গেলেই মহিলা ঘনঘন খিঁচুনি   দিতে থাকে এবং  হৃদ ষন্ত্রে যন্ত্রণা বোধ করেন ৷ কিছুক্ষণ  পরেই চিকিৎসারত অবস্থায়  ওই মহিলা  মৃত্যুর  কোলে ঢলে পরেন অপারেশনের থিয়েটারের টেবিলেই৷ সিনিয়র  ডাক্তারদের অভিমত দুটি কারনে রোগী মৃত্যু  হওয়ার  হতে পারে৷  প্রথমত ওই ইনজেকশন ভুল ভাবে বা অধিক  পরিমাণেপুশ করে  থাকলে ৷  অন্যথায়  সার্জারি করার সময়  গোপনাঙ্গে বায়ু প্রবেশের জটিলতার জন্য৷

সুত্র মারফত জানা যায়,  অপারেশন করার জন্য  যে ডাক্তার   নিয়োজিত ছিলেন  ওনার  নাম ডাঃ তানি ভট্টাচার্য৷ ওনার বয়স আনুমানিক  পঁয়ষট্টি বৎসর৷৷  ষাট বছর চাকরির শেষে ওনাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন বছরের জন্যে পুনর্নিয়োগ করেছিলো৷ পুনর্নিয়োগের সময় পেরিয়ে  আরো অতিরিক্ত দুবছর  হয়ে গেলেও  তাকে দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ  কোন ক্রমে  দিনের পর দিন অপারেন চালিয়ে যাচ্ছেন৷  আজ পনেরো জনের লাইগেশন করানো হয়েছিল৷ সোমা  ষোল নম্বরের লাইগেশানের রোগী ছিলো৷ প্রায় পঁয়ষট্টি বছর  বয়সী  ডাক্তার কে দিয়ে  এই রকমের  জটিল  অপারেশন  সম্ভব কিনা তাও প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷  রোগীর  আত্মিয় পরিজনরা  সোমার  মৃত্যুর পরেই হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তৈরী  করতে থাকে৷  পোষ্টমরটমের পর সোমার মৃত দেহ আত্মীয় পরিজনের হাতে তুলে দিলেও পরিস্থিতি শান্ত হয় নি৷পরিস্থিতি  উত্তপ্ত  হলেও আর কে পুর মহিলা  থানার ও সি শোভা রানী তেলির  ঘটনা স্থলে পাওয়া যায়নি বলে ক্ষুব্ধ আত্মীয় স্বজনের    অভিযোগ করেছেন৷ উদয়পুর ও মহারানি  এলাকায় সোমার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *