BRAKING NEWS

বাজেটে নতুন ভারতের প্রগতিশীল চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ জুলাই ৷৷ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বাজেটে নতুন ভারতের প্রগতিশীল চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ৷ কারণ, এই বাজেট গরিবদের স্বস্তি আনবে, সাথে দেশের উন্নয়নকেও ত্বরান্বিত করবে৷ শুক্রবার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ-কথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব৷ তিনি আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে একটি জনমুখী বাজেট পেশ করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ এদিকে, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন বলেছেন এই বাজেট ঐতিহাসিক৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বাজেট দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য সাহায্যকারী হবে৷ তাঁর কথায়, ২০২২ সালের মধ্যে সবার জন্য ঘর এবং ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করার মতো পরিকল্পনাগুলি সরকারের নতুন ভারত গঠন করার প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধতাকে প্রদর্শন করছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই বাজেট নতুন ভারতের প্রগতিশীল চিন্তাধারত্রকে প্রদর্শন করে এবং শুধু গরিবদের জন্য স্বস্তি আনবে তা নয়, বরং দেশের উন্নয়নকেও ত্বরান্বিত করবে৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পথ প্রদর্শনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আজ দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের প্রথম বাজেট পেশ করেন৷ এই বাজেট ভারতের অর্থনীতিকে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করবে বলে তিনি মনে করেন৷ সাথে যোগ করেন, বয়স্ক নাগরিক, মহিলা, ছাত্র, যুবা, কৃষক এবং মজদুর-সহ সমাজের সকল অংশের জনগণ এই বাজেটের ফলে উপকৃত হবেন৷

 তিনি বলেন, মাইক্রো ইকোনমিক ব্যবস্থায় পরিকাঠামো তৈরির উপর আলোকপাত করে পাঁচ বছরে ১০০ লক্ষ কোটি টাকার লক্ষ্য রাখা হয়েছে৷ সাথে ’’গ্রাম, গরিব ও কিশাণ’’ এবং অবশ্যই মহিলাদের গুরুত্ব দেওয়ায় এই বাজেট আরও সার্বিক রূপ নিয়েছে৷

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ২ কোটি ঘর, ১.২৫ লক্ষ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক, ভারতমালা প্রকল্প-২, বিদ্যুৎ এবং সবার জন্য এলপিজি গ্যাস, জলের উপর দৃষ্টিপাত, শ্রমিক আইন ও কানুন, গ্রামীণ এলাকার জন্য ইনকিউবেটর, জাতীয় পরিবহণ কার্ড, সামাজিক নিরাপত্তা বিনিময়ের মতো কিছু বড় ঘোষণা যা দেশকে আরও বিকশিত ভারতের পথে নিয়ে যাবে৷ সাথে তিনি বলেন, জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে উদ্দেশ্যসাধন করা, উচ্চশিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষার উপর আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ কারণ, ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি দেশে প্রচুর চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে৷ তাতে, অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুফল পৌঁছে যাবে৷

তিনি আরও বলেন, বাজেটের পরিণামে ব্যাঙ্কিং রিফর্ম জারি থাকবে৷ তার কথায়, ৪ লক্ষ কোটি টাকার এনপিএ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এনবিএফসিগুলিকে সাহায্য করার জন্য নতুন নীতিমালা আনা হয়েছে৷ তাঁর দাবি, ব্যবসার জন্য আরও বেশি নগদ সহজলভ্য হবে৷ এদিন তিনি আরও দাবি করেন, এক লক্ষ কোটি টাকা পুনঃবিনিয়োগের বড় লক্ষ্যমাত্রা স্বাগত জানানোর মতো পদক্ষেপ এবং জনগণকে সার্বজনীক সম্পত্তির মালিকানা দিতে তাঁদের জন্য  ২৫ শতাশ পুনঃবিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা একটি মহান পদক্ষেপ৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাজেটে করদাতাদের চিহ্ণিত করার উপর দৃষ্টিপাত করা হয়েছে এবং তাঁদের ব্যবসা করার ক্ষেত্র সরল করার উপর আলোকপাত করা হয়েছে৷ তাঁর মতে, সংশোধনগুলি আয়কর দফতরে ’’ইনস্পেক্টর রাজ’’ কম করার দিকে লক্ষ্য রেখে করা হয়েছে এবং কর সম্মতি আন্দাজ করতে আরও সরলতা আসুক সেই দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্যান এবং আধার-এর মধ্যে অদল-বদলের সুবিধা ও এক কোটি টাকার উপর নগদ উইথড্রয়াল-এর উপর বার্ষিক ২ শতাংশ করারোপ করা নগদহীন লেনদেনের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ৷

জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল৷ সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আজ সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ৷ শুক্রবার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এভাবেই কেন্দ্রের প্রশংসা করেন ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী তথা উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা৷ তার কথায়, সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে ভোট দিয়েছেন৷ ফলে, তাঁদের জন্যই এই বাজেট পেশ হয়েছে৷ তাঁর দাবি, আজ জনমুখী, গরিবমুখী এবং উন্নয়নমুখী বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷

এ-প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রগতিতে লক্ষ্য ঠিক করে গতি বাড়ানোর দিশায় ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেট পেশ হয়েছে৷ অতীতে খুবই জটিল বাজেট পেশ করা হত৷ কিন্তু আজ বাজেট সাধারণের বোঝার সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে৷ তিনি বলেন, জাতি ও দেশ গঠনের লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ তাতে, সকল অংশের মানুষ উপকৃত হবেন৷

উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাজেটে দেশকে মজবুত করার দিশা দেখানো হয়েছে৷ শুধু তা-ই নয়, দেশ নতুন করে গঠন এবং নয়া ভারতে রূপান্তরের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে৷ তিনি দাবি করেন, বাজেটে দেশের দশ বছরের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে৷ কারণ, শহরের বদলে গ্রাম প্রাধান্য পেয়েছে৷ তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, গ্রাম উন্নত হলে তবেই দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছবে, এই উপলব্ধি থেকেই আজ সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ তিনি ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *