নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জুলাই ৷৷ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বহুতল ভবন নির্মাণ নিরাপদ৷ তাই, ত্রিপুরায় সমস্ত বহুতল নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব৷ বুধবার ত্রিপুরা হাউজিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের শততম সভা মহাকরণের ১ নম্বর কনফারেন্স হল-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ ওই সভায় মুখ্যমন্ত্রী এ-কথা বলেন৷ সাথে যোগ করেন, নয়া বিল্ডিং রুলস কার্যকর করতে অতি সহজে অনুমোদন পাওয়া এখন খুবই সহজ৷ ফলে, এই রুলস যথাযথ পালন সুনিশ্চিত করতে হবে৷
আজকের সভায় হাউজিং বোর্ডের বিভিন্ন নির্মাণ কাজ, বাজেট এবং সর্বশেষ বোর্ড মিটিং-এর কর্ম পরিকল্পনার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ত্রিপুরা হাউজিং এণ্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা পূর্ত দফতরের (বিল্ডিং) চিফ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্চয়িতা দাস ৷
এদিকে, বোর্ডের বিভিন্ন কাজের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরা হাউজিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের অধীনে নির্মীয়মাণ সমস্ত ভবন যেন রাজ্য সরকারের নতুন বিল্ডিং রুলসকে অনুসরণ করেই নির্মাণ করা হয় ৷ তাঁর মতে, নতুন বিল্ডিং রুলসকে অনেক সহজ ও সরলীকরণ করার ফলে অতি সহজেই বিল্ডিং নির্মাণ কাজের অনুমোদন পাওয়া যাবে ৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা হাউজিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের অধীনে যে-সকল বিল্ডিং নির্মিত হবে তাতে অগ্ণিনির্বাপক ব্যবস্থা, পার্কিং-এর ব্যবস্থা, বিল্ডিং-এর দু’দিকে সিঁড়ির ব্যবস্থা রাখার ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখতে হবে ৷ কারণ, আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বহুতল ভবন নির্মাণ খুবই নিরাপদ৷
ত্রিপুরা হাউজিং বোর্ডকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, আগরতলা পুর নিগম, অগ্ণিনির্বাপক দফতর, বিদ্যুৎ দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরের অনুমোদন পাওয়ার পরেই সংশোধিত ত্রিপুরা বিল্ডিংস রুলসকে অনুসরণ করে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করতে হবে৷
এদিনের সভায় ত্রিপুরা হাউজিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা পূর্ত দফতরের (বিল্ডিং) চিফ ইঞ্জিনিয়ার জানান, ১৯৮১ সালে ত্রিপুরা হাউজিং বোর্ডের কাজ শুরু হয় ৷ বর্তমানে ত্রিপুরা হাউজিং বোর্ডের ২৪ জন টেকনিক্যাল এবং ৪১ জন নন-টেকনিক্যাল-সহ মোট কর্মী সংখ্যা ৬৫ জন ৷ বোর্ডের সর্বশেষ সভা হয়েছিল ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে ৷
আজকের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বোর্ডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিককে নির্দেশ দেন, বোর্ডের সভা এখন থেকে প্রতি তিনমাস অন্তর করতে হবে ৷ সভায় মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক আরও উল্লেখ করেন, ত্রিপুরা হাউজিং বোর্ড সচিবালয়ের কাছে ১.২৫ একর জমিতে ১২৫-১৪০টি মালিকানাভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে ৷ ফ্ল্যাট নির্মাণে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড, রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি আইন এবং ত্রিপুরা বিল্ডিংস রুলস কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে বলে তিনি সভাকে অবহিত করেন ৷