নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুলাই৷৷ তুইপ্রা স্টুডেন্টস ফেডারেশান এবং অল ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ইউনিয়ন রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু বিষয়ে যৌথ আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷ সংগঠনদ্বয়ের নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন৷ তারা জানান তিনটি বিষয়ে যৌথ আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷
রাজ্য সরকারের ও এডিসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২০টি সুকলের পরিচালন ব্যবস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া এবং ছাত্র-ছাত্রীদের স্থানান্তর করার যে সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভা গ্রহণ করেছে তার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা হবে৷ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করা হবে৷ টিএসএফ এবং এটিএসইউ মনে করে রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত গ্রাম পাহাড় এবং পিছিয়ে পড়া অংশের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে অন্তরায় হবে৷ একই সাথে শিক্ষা আইন ২০০৯ এর সরাসরি লঙ্ঘন করা হবে৷ তাছাড়া এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা সঙ্কোচন নীতিকে প্রশ্রয় দেবে৷ ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, এবার উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মহাবিদ্যালয়ে ভর্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে৷ মেধার অজুহাত তুলে গ্রাম পাহাড় ও সমস্ত পিছিয়ে পড়া অংশের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করতে হবে৷
একই সাথে রাজ্যের প্রতিটি মহকুমায় মহাবিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, যাতে রাজ্যের প্রতিটি মহকুমার ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়৷ স্টেট কোটায় রাজ্যের এসটি, এসসি ছাত্র-ছাত্রীদের রাজ্যের বাইরে কারিগরী শিক্ষার জন্য পাঠানোর ক্ষেত্রে সংরক্ষণে রোস্টার পদ্ধতি যথাযথভাবে মানার জন্য দাবি জানানো হয়েছে৷ রাজ্যের দুটি বিশ্ব বিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্সগুলির আসন সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত স্নাতক ছাত্র-ছাত্রীদের স্নাতকোত্তর শিক্ষাগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে৷
বন আইন মোতাবেক জমির পাট্টার জন্য যে সমস্ত আবেদনকারীর আবেদন নাকচ করা হয়েছে সেই সমস্ত আবেদনকারীদের বন থেকে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোট৷
এটিএসইউ এবং টিএসএফ এ ধরনের নির্দেশকে অগণতান্ত্রিক এবং অমানবিক বলে মনে করে৷ তাই এই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে৷ এখনো যারা জমির পাট্টা পায়নি তাদেরকে ২৫ কানি করে জমির পাট্টা প্রদান করার দাবি জানিয়েছে টিএসএফ এবং এটিএসইউ৷