নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২ জুলাই ৷৷ রাতের আধারে চুরির ঘটনা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা ঊনকোটি জেলার সংসৃকতির শহর কুমারঘাটের৷শহরের প্রানকেন্দ্র এবং তার আশপাশে নগরবাসীর রাতের নিরাপত্তা দেবার জন্য পুলিশি টহল জারি রয়েছে কিন্তু তা সত্তেও কুমারঘাট থানার পুলিশকে চেলেঞ্জ জানিয়ে চোরের দল অবাধে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আর ঠুটো জগন্নাথের মতো বসে রয়েছে কুমারঘাট থানার পুলিশ বলে অভিযোগ৷রাতের আধারে জনশূন্যতার সুযোগকে পুজি করে ফের চোরের দল থাবা বসায় কুমারঘাটের কমলাশিষ ঘোষের রবারের গডাউনে৷ পেছনের দরজা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে নিয়ে যায় প্রায় ৬০০ কেজি রবার শিট এবং স্ক্রেট সহ অন্যান্য সামগ্রী বলে জানায় দোকান মালিক৷
দোকানে থাকা সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়ে কিভাবে দোকানে প্রবেশ করেছে চোর৷পরে সেই চোর সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং কাজ সেরে পালায়৷ পরের দিন দোকান মালিক দোকানে এসে এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে এবং কুমারঘাট থানায় খবর দেয়৷ছুটে যায় হীরার রাজ্যের খাকি উর্দীধারীরা এবং লোক দেখানো তদন্তে নামে৷
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব পুলিশকে সঠিক ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু কুমারঘাট থানার পুলিশ কি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কাজ করছে?যদি করতো তবে কুমারঘাট শহরের বুকে একের পর এক চুরির ঘটনা কিভাবে সংগঠিত হচ্ছে আর সরকার পরিবর্তনের পর কুমারঘাট শহরের বুকে যত চুরির ঘটনা ঘটেছে তবে এখনো পর্যন্ত একটি ঘটনায়ও কাউকে গ্রেপ্তার কেন করতে পারেনি বিপ্লব দেবের পুলিশ?প্রশ্ণ কুমারঘাটবাসীর৷
এবারের চুরির ঘটনার সিসি টিভি ফুটেজও কিন্তু রয়েছে কুমারঘাট থানার পুলিশের হাতে,পুলিশ এই চুরির ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে, নাকি চলতে থাকে চোর পুলিশের এই খেলা এই দিকেই তাকিয়ে কুমারঘাটবাসী৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যকে জঞ্জালমুক্ত করারও অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে৷ খুব কম সময়ে ত্রিপুরা সরকার পুরনিগম, সব পুরপরিষদ, নগর পঞ্চায়েত এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলির সহযোগিতায় জঞ্জাল মুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলবে৷ তিনি বলেন, সমস্ত শহর-নগর গুলিকে যেমন জঞ্জালমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তেমনি জঞ্জালগুলি রি-সাইক্লিং করে নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সম্পদ সৃষ্টি করা হবে৷ এর ফলে কর্মসংস্থানের যেমন সৃষ্টি হবে তেমনি সবুজ ত্রিপুরা, আবর্জনামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার অঙ্গীকার সার্থক হবে৷