নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুলাই ৷৷ প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের সুুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি করে গাছ লাগান৷ গাছ লাগানোর পর ঐ গাছকে পরিচর্যা করুন৷ ২-৩ বছরের মধ্যে ঐ গাছ জীবনদায়ী হয়ে উঠবে৷ আজ জোলাইবাড়ীর সাচিরামবাড়ী শহীদ ধনঞ্জয় ত্রিপুরা স্মৃতি ইংরেজী মাধ্যম বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৭০তম রাজ্যভিত্তিক বনমহোৎসবের উদ্বোধন করে এই আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সংসৃকতি ও পরম্পরার সাথে বনায়ণের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে৷ আমাদের দেশে অনেকেই গাছকে পুজো করে থাকেন, এটা আমাদের দেশের ঐতিহ্য৷ রাজ্যে ৬০ শতাংশের উপর বনভূমি রয়েছে, রয়েছে প্রচুর বনজ সম্পদ৷ এই বনজ সম্পদ কেবল রাজ্যের ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসীই নয়, ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যগুলিও এই বনজ সম্পদের সুুফল ভোগ করছেন৷ তিনি বলেন, শুধুমাত্র জুন-জুলাই দুই মাসই বৃক্ষরোপন নয়, যেহেতু আমাদের রাজ্যে ৬ থেকে ৭ মাস প্রায়ই বৃষ্টি হয় তাই ঐ সময়গুলিতেও গাছ লাগানো যেতে পারে৷ এই কাজে সমস্ত সরকারী প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ প্রত্যেক ব্যক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে৷ সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই সবুজ ত্রিপুরা গড়ে তুলতে হবে৷
মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, রাজ্যের নতুন সরকার বন আইনে বাঁশকে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন নিয়মনীতির ছাড় দিয়ে বাঁশের ব্যবহারকে সহজলভ্য করেছেন৷ তার ফলে ত্রিপুরাবাসী বিশেষ করে জনজাতি অংশের জনগণ উপকৃত হবেন৷ ত্রিপুরার বাঁশ, বেত ও বনজ সম্পদকে কেন্দ্র করে যে কুটির শিল্প রয়েছে তা রাজ্যের বাইরে বাজারজাত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ ত্রিপুরার কুটির শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্যের বাঁশ এবং বনজ সম্পদকে রক্ষা করতে হবে৷ নতুন গাছ লাগাতে হবে৷
গাছকে রক্ষা করতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার আগর গাছের ব্যবহার ও বিক্রির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷ এর ফলে বেসরকারীভাবে আগরগাছ চাষীরাও উপকৃত হবেন৷ আগর গাছকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সমস্ত পাকা রাস্তার দুই ধারে ফুল ও ফলের গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷ প্রথম দিকে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে কেন্দ্র করে এগুলি লাগানো হবে এবং চলতি বছরেই এই কাজ শুরু হবে৷ এই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ফুল ও ফলের গাছ লাগানোর ফলে এই কেন্দ্রগুলি আরও সবুজ ও সুুন্দর হয়ে উঠবে৷