BRAKING NEWS

রাজ্যের জনগণ নি:স্বার্থ ও স্বত:স্ফূর্ত ভাবে রক্তদান করে থাকেন :মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জুন৷৷ রক্তদান হলো একটি মহৎ দান, সর্বশ্রেষ্ঠ দান৷ ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় রাজ্যের জনগণ নি:স্বার্থ ও স্বতস্ফূর্ত ভাবে রক্তদান করে থাকেন৷ তাই ত্রিপুরার মাটিতে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত৷ আজ আগরতলার স্বামী দয়ালানন্দ বিদ্যানিকেতনে আয়োজিত এক রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই অভিমত ব্যক্ত করেন৷ তিনি অনুষ্ঠানে রক্তদান শিবিরের আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান৷ প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগরতলাতে বিগত দিনের চেয়ে বিদ্যতের মতো জরুরী পরিষেবার চাহিদা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে৷ রাজ্যবাসীকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যৎ পরিষেবা প্রদান করার ক্ষেত্রে কোন প্রকার সমস্যা যেন না হয় তার জন্য রাজ্যসরকার অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে৷


এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার দেশের শাসনভার গ্রহণ করার পর প্রথম ’মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও অংশ নেন স্ব’ক মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ’মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুনার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান ’মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী প্রধানত তিনটি বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন৷ প্রথমত বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও স’য় করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন৷ এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে গড়ে তুলেছে জলশক্তি মন্ত্রক৷

বৃষ্টির জলকে সংরক্ষণ এবং স’য় করে মানুষের কাছে সেচ এবং পানীয় জলের সুুযোগ পৌঁছে দেওয়ার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছভারত অভিযানকে দেশবাসী যেভাবে মিশন মোডে গ্রহণ করেছেন, সেভাবে জলের সংরক্ষণের জন্যও প্রধানমন্ত্রী ’মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যে আহ্বান করেছেন সে ক্ষেত্রেও দেশবাসী একযোগে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷


মুখ্যমন্ত্রী জানান, ’মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যোগাসনের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷ যোগাসন শুধুমাত্র আমাদের দেশেই মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যোগাসনের জন্য পৃথক পৃথক সংস্থা রয়েছে৷ যোগাসনে যারা উৎসাহ প্রদান করছে তাদের পুরস্ক’ত করার ব্যবস্থাও রয়েছে৷ নিরোগ এবং সুুস্থ থাকার জন্য যোগাসনের গুরুত্ব দেশব্যাপী প্রচারও প্রসার করার জন্য যে সকল এন জি ও কিংবা সংস্থা কাজ করছে তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷


অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য্য অরুনোদয় সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভ-াচার্য্য এবং দীপক কর৷ এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী জায়া নীতি দেব৷ রক্তদান শিবিরে মোট ৬৭ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *