নয়াদিল্লি ও লখনউ, ২৯ জুন (হি. স.) : উত্তর প্রদেশের পর এবার রাজধানী দিল্লিতেও মহিলাদের সুরক্ষার্থে ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ চালু করার দাবি জানালেন দিল্লি বিজেপির (ভারতীয় জনতা পার্টি) প্রধান ভোজপুরি অভিনেতা মনোজ তিওয়ারি। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে মহিলাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্য পুলিশের ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে শনিবার তিনি বলেছেন, “মহিলাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, দিল্লিতেও এই ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ গঠন হওয়া উচিত।”
বেশ কিছুদিন ধরে উত্তর প্রদেশে নাবালিকা নির্যাতনের একাধিক ঘটনার পর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন যোগী। সম্প্রতি, আইএএস আধিকারিকদের একটি সভাতেও তিনি ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এবার সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে দিল্লিতে এই বিশেষ স্কোয়াড চালু করার দাবি জানিয়ে দিল্লি বিজেপির প্রধান মনোজ তিওয়ারি জানান, “এই ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’-এর ভাবনাটি খুব সুন্দর। যেহেতু মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িয়ে তাই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমার মতামত, দিল্লিতেও এই ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ চালু হয় দরকার।” এদিন দিল্লি বিজেপির রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান তিনি। দিল্লি বিজেপির প্রধানের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয় গোয়েল। অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের সিনিয়র পুলিশ সুপার বৈভব কৃষ্ণ জানিয়েছেন, এবার থেকে মহিলাদের উত্তক্ত বা নিগ্রহ করলেই অপরাধীদের ‘রেড কার্ড’ ধরাবে ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’। জেলাজুড়ে সক্রিয় করা হয়েছে এই স্কোয়াড। অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে অপরাধীদের ‘লাল কার্ড’ প্রদান করে সতর্ক করবে এই বিশেষ স্কোয়াড। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর উত্তর প্রদেশে ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর প্রতিটি স্কোয়াডে থাকতেন একজন করে সাব ইনস্পেক্টর এবং চারজন করে কনস্টেবল। যাঁদের মধ্যে অন্তত দু’জন মহিলা এবং দু’জন সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকর্মী। পুলিশি উর্দির পাশাপাশি চলত সাদা পোশাকে টহলদারিও। কিন্তু গোড়া থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছে পুলিশকর্মীদের এই স্কোয়াড। অভিযোগ, ইভটিজারদের থেকে মহিলাদের রক্ষা করার পরিবর্তে ছেলে-মেয়েকে রাস্তায় একসঙ্গে দেখলেই এই স্কোয়াড তাঁদের হেনস্থা করত। অপরাধীদের পরিবর্তে পাকড়াও করত পার্ক, শপিং মল এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে জড়ো হওয়া যুগলদের। বিতর্কের জেরে স্কোয়াডের কার্যকলাপে রাশ টানে স্বরাষ্ট্র দফতর।