মুম্বই, ২৫ জুন (হি.স.) : সাতের দশকের জরুরি অবস্থার সময় যারা কারাবরণ করেছিল তাদের আর্থিক ভাতা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এমনই ঘোষণা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, জরুরি অবস্থার সময় যারা কারাবরণ করেছিল ভাতা তাদের কাছে টাকার থেকেও বেশি সম্মানের। বহু মানুষই আর্থিক ভাতা নিতে অস্বীকার করেছে। কিন্তু সেই সময়ে গ্রেফতার হওয়ার পরে যারা চাকরি হারিয়েছিল তারা এখনও দারিদ্রতার মধ্যে জীবনযাপন করছেন, তাদের আর্থিক সহায়তার জন্য এই ভাতা প্রকল্প চালু করা হবে।
রাজ্যের ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী মদন ইরাওয়ার জানিয়েছেন, ৩২৬৭ আবেদন পত্র ভাতার প্রদানের জন্য গৃহীত হয়েছে। রাজ্য বাজেটে ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যার থেকে ইতিমধ্যেই খরচ হয়েছে ২৮ কোটি টাকা। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জরুরি অবস্থার সময় যারা এক মাস কারাগারে ছিল তাদের মাসিক ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। যারা এক মাসেরও বেশি সেই সময় কারাগারে ছিল তাদের মাসিক ১০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
এদিন বিধানসভায় এনসিপি বিধায়ক অজিত পাওয়ার বলেন, কোনও রকম প্রমাণ ছাড়া কি করে কোনও ব্যক্তিকে এই ভাতা দেওয়া হবে। এর উত্তরে মদন ইরাওয়ার বলেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নথি যাচাই করেই এই ভাতা দেওয়া হবে। নথি যাচাইয়ের জন্য জেলাশাসকের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং যোগ্য ব্যক্তিই এই ভাতার সুবিধা পাবেন। কৃষক এবং শ্রমিক দলের বিধায়ক শুভাশিস পাটিল জানিয়েছেন, যারা জরুরি অবস্থার সময় কারাগারে বন্দিদশায় ছিল, তাদের কাছে টাকার থেকেও অনেক বড় হল সম্মান।
ভাতার পরিমাণ ২৫০০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রত্যেক ভাতা প্রাপকদের মানপত্র দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। এর উত্তরে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন ভাতার পরিমাণ এখনই বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়, তবে মানপত্র দেওয়া হবে।