নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ জুন ৷৷ সারা দেশে বিদ্যালয় ভিত্তিক মূল্যায়ণে কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব মনিষ গর্গের নেতৃত্বে এই কমিটিতে মোট সদস্য সংখ্যা ১০৷ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, রাজ্যে এসসিইআরটি অধিকর্তা বিশ্বজিৎ গুপ্ত ওই কমিটিতে রয়েছেন৷ এই কমিটি এক মাসের মধ্যে পর্যবেক্ষণের ফলাফলা জানাবে৷
শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সারা দেশে বিদ্যালয় ভিত্তিক মূল্যায়ণের উদ্যোগ নিয়েছে৷ তাই, ১০ জনের একটি কমিটি গঠন করেছে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ ওই কমিটি সারা দেশে ছাত্র ছাত্রীরা কতটুকু জ্ঞান উপলব্ধি করেছে এবং প্রকৃত অর্থে শিক্ষার্থীরা কি করতে পারে তার সামগ্রিক তথ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষা নীরিক্ষা করবে৷
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, এই কর্মসূচির অন্তর্গত প্রতিটি বুনিয়াদি স্তরের বিদ্যালয়ে শিশু সংখ্যা গননা করা হবে৷ তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের শিখন স্তরের বহুবিধ প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহ, শিক্ষার্থীর উপলব্ধ শিক্ষার ফলাফলের বিকেন্দ্রীকরণ করে মূল্যায়ণ, পূনঃনিবেশ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র ছাত্রীদের তাৎক্ষনিক এবং গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া প্রদান, ভীতি প্রদর্শনমূলক কিংবা কোনও ধরনের শাসানিমূলক পদ্ধতি অনুসরণ না করে মূল্যায়ন এবং বেসরকারী সংস্থা দ্বারা সংগৃহিত তথ্য সন্দেহের নমুনা পরীক্ষা করাই ওই কমিটির মুখ্য দায়িত্ব৷
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে জাতীয় সমীক্ষার জন্য বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলিতে প্রারম্ভিক হস্তক্ষেপ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ প্রশাসনিক ভাবেই জাতীয় সাফল্যের সমীক্ষার সার্বিক স্বার্থকতার জন্য সারা দেশ ব্যাপি বুনিয়াদি স্তরে শিক্ষার্থীদের শিখনস্তরের ফলাফলের মূল্য নির্নয় করার জন্য এই বিদ্যালয় ভিত্তিক মূল্যায়ণ প্রস্তাবিত হয়েছে৷ তাঁর দাবি, বিদ্যালয় ভিত্তিক মূল্যায়ণের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিখনস্তরকে উন্নিত করার জন্য শিক্ষকদের ক্ষমতা প্রদান৷ তিনি জানান, বিদ্যালয় ভিত্তিক মূল্যায়ণের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য বিদ্যালয়ে আওতার নেতৃত্ব, শিক্ষক এবং ব্লকের প্রতিটি স্তর, ডায়েট, এসসিইআরটি এবং বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষা দপ্তর থেকে নিয়ে একটি কাঠামো গঠন করা হবে৷
কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন রাজ্যের এসসিআরটি অধিকর্তা৷ শিক্ষামন্ত্রীর মতে, অত্যন্ত অল্প সময়ে নির্ভুল এবং সুচারুভাবে এনসিইআরটি পাঠ্যবই এবং সিবিএসই’র পাঠ্যক্রম রাজ্যের এসসিইআরটির মাধ্যমে অধিগৃহিত হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, এনসিইআরটি’র মাধ্যমে রাজ্যে বিশেষ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং পরবর্তী সময়ে কী রিসোর্স পার্সন নিয়োগ এবং তৎসহ বিশাল পরিমান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তাই ত্রিপুরা ওই কমিটিতে স্থান করে নিয়েছে৷ তিনি আরও মনে করেন, পিএবি বৈঠকে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং এনসিইআরটি কর্তৃক এসসিইআরটি নির্ভূল কার্য পরিচালনা এবং দক্ষতা নিয়ে ভুয়শি প্রশংসা প্রাপ্তিও অন্যতম কারণ৷ পাশাপাশি, এনএএস এবং তৎসহ সারা রাজ্য ব্যাপী প্রচুর সংখ্যায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও রাজ্য ভিত্তিক বেইস লাইন সার্ভের স্বার্থকতার জন্যই ত্রিপুরার এই প্রাপ্তি৷