নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুন৷৷ ধর্মনগর হাফলং কার্গিল টিলা চা বাগানে ছয় বছেরের শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য৷ওই শিশুকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে অবিযোগ৷ যদিও পুলিশ এই ব্যাপারে একটি মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷ রাতে খবর লেখা পর্যন্ত কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ৷
নরপিচাশের লালসার শিকারে খালি হয়ে গেলো এক মায়ের কোল৷ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সাথে সাথে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ধর্মনগরে৷ সোমবার রাত থেকেই কৈলাসহরের মুর্তি ছড়া এলাকার নিতান্ত গরিব পরিবারের বছর সাতের এক নাবালিকাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলনা৷ দির্ঘক্ষন খোঁজাখোঁজির পর মেয়েটির অভিভাবকরা সোমবার মধ্য রাতেই ধর্মনগর মহিলা থানায় বিষয়টি জানান৷ মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১০টায় ধর্মনগর থানায় খবর আসে ধর্মনগর মহকুমার হাফলং কার্গিল টিলা চা বাগানে একটি ছড়ার ধারে এক নাবালিকার অর্ধনগ্ণ দেহ পাওয়া গেছে৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে নিখোঁজ নাবালিকার অভিভাবক দের খবর দেন৷ মৃত মেয়েটির মা সেখানে পৌঁছে মেয়েটিকে সনাক্ত করে জানান এটি তার মেয়ে৷ সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে৷
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগরের পুলিশ আধিকারিক রাজিব সুত্রধর৷ অপরাধীদের সনাক্ত করতে ঘটনা স্থলে আনা হয় ডগ স্কোয়াড৷শুরু হয় তদন্ত৷ বর্তমানে ময়নাতদন্তের জন্য মেয়েটিকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়৷ এদিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরেই মেয়েটির পরনের প্যান্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ এস ডি পি ও জানিয়েছেন ধর্ষণের পরে খুন বলেই প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে৷ মৃতার মা গৃহ পরিচারিকা ও বাবা দিনমজুর৷ মানবরূপি দানবের কুকর্মে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেলো এক নিষ্পাপ শিশু৷ অতি কষ্টে তিলে তিলে বড় হওয়া দুঃস্থ পরিবারের ছয় বছর বয়সি ছোট্ট মেয়েটি৷
এদিকে, শহরতলীর বোধজংনগর থানা এলাকা থেকে এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম শুভজিৎ দাস৷
এলাকার সুকল পড়ুয়া ১৬ বছর বয়সী নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় আমবাসায়৷ সেখানে তিনদিন আটকে রেখে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়৷ এই ঘটনায় মেয়েটির পরিবারের তরফ থেকে বোধজংনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে৷ মামলার নম্বর ৪৯/১৯৷ মামলা হয়েছে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৬ ও ৩৭৬ ধারায়৷ সংবাদ লেখা অবধি পুলিশ এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকার লোকজন ক্ষোভে ফুসছেন৷
প্রসঙ্গত, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ণ তোলা হচ্ছে৷ নারী সংক্রান্ত অপরাধের ঘটনা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল৷