নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৭ জুন৷৷ এ রাজ্যের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার সামাজিক অবক্ষয়ের তালিকায় সংযোজিত হল আরও এক ধর্ষনের ঘটনা৷বর্তমান সমাজের কিছু সংখ্যক মানুষের মনুষ্যত্যবোধ যে কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল৷

রাজ্যে কিছু সংখ্যক নরপিশাচের কারনে নারীধর্ষনের ঘটনা রাজ্যের বুকে যেমন ক্রমেই উর্ধমুখী তেমনি তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা নিষ্পাপ শিশুরাও৷ উনকোটি জেলার ফটিকরায় থানাধীন লালজুরী গ্রামে এমনই এক নাবালিকা ধর্ষনের অভিযোগের ঘটনা সামনে উঠে এল৷ ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ফটিকরায় থানার অন্তর্গত লালজুরি গ্রামের ৯ বছরের এক শিশুকণ্যা রবিবার দুপুরে তার বাড়ীর পাশে দাদুর বাড়ীতে নেমত্যন্ন খেতে যায়৷ নিজ ঘরে ফিরার পথে শিশু কর্ণার একাকিত্বের সুযোগে রাস্তায় পেয়ে গ্রামের পাশ্ববর্তী একটি সুকলের জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় মশাউলি গ্রামের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রতিশ দাশের গুনধর পুত্র ২৩ বর্ষীয় রাজেশ দাস ওরফে শঙ্কু৷ তার পাশবিক লালসা চরিতার্থ করে শিশু কণ্যাটির উপর, এমনটা ধর্ষিতা শিশু কন্যা ও তার পরিবারের অভিযোগ৷
ঘটনা প্রত্যক্ষ করে মেয়ের এক নিকটআত্মীয় ঐ জায়গায় গেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত এমনটাই অভিযোগ করে ধর্ষিতা শিশুকণ্যা৷এদিকে ঘটনার সত্যতা তুলে ধরে ধর্ষিতা শিশুকন্যার বাবা জানান,ঘটনার খবর পেয়ে উনারা মেয়েকে নিয়ে পাশ্ববর্তী কাঞ্চনবাড়ী হাসপাতালে গেলে প্রাথমিক তদন্তে চিকিৎসক ঘটনার সত্যতা খুজে পান এবং পরে অভিযুক্তে রাজেশ দাস ওরফে শঙ্কুর বিরুদ্ধে ফটিকরায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ অপরদিকে অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আই পি সি ৩৪১/৩৭৬ এবি পস্কো আইনে মামলা রজু করে অভিযুক্তের খোঁজে রবিবার থেকেই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন ফটিকরায় থানার সেকেণ্ড ওসি মরন চন্দ্র দাস৷ পাশাপাশি ধর্ষিতা শিশুকন্যার পরিবার এবং এলাকাবাসীর তরফ থেকে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হলেও ঘটনার ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হবার পরও অভিযুক্তকে জালে তুলতে ব্যার্থ ফটিকরায় থানার নিষ্কর্মা পুলিশ কর্তারা৷
এদিকে অভিযুক্ত যুবক নব্য বিজেপিতে নাম লেখিয়েছে বলে খবর, আর এর ফলেই কি কোন রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়ে পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে বিলম্ব করছে?উঠছে নানা মহলে প্রশ্ণ৷
যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে কোন রাজনৈতিক রং না দেখে এই ধরনের নরপিচাশদের কঠোর শাস্তি হওয়াটা কিন্তু অত্যন্ত যুক্তিপূর্ন নাহলে এই ধরনের ঘটনার হ্রাস টানা কিছুতেই সম্ভব হবেনা৷ তবে গোটা কুমারঘাট জুড়ে জোর গুঞ্জন উঠেছে যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর সিপিআইএম দলের কিছু দালালরা বিজেপি দলে যোগদান করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার একটা ষড়যন্ত্র করছে৷অভিযুক্ত রাজেশ দাস ওরফে শঙ্কুর বিরুদ্ধে এর পূর্বেও নানা অভিযোগ ছিল৷এখন দেখার বিষয় ফটিকরায় থানার পুলিশ অভিযুক্ত রাজেশ দাস ওরফে শঙ্কুকে কবে নাগাদ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়৷ নাকি অভিযুক্তকে বগলদাবা দিয়ে দায় সারবে পুলিশ?সেটা এখন লাখ টাকার প্রশ্ণ৷