নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জুন৷৷ রাজ্যে বর্ষার মরসুম প্রবেশ করেছে৷ শুক্রবার ভোর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ এখনো পর্যন্ত ছামনুতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা গেছে ১৯ সেন্টিমিটারের উপর৷ লংতরাইভ্যালী মহকুমার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে৷ এমতাবস্থায় মনু আর ডি ব্লকের অন্তর্গত ধুমাছড়া এ ডি সি ভিলেজের রতন রোয়াজা পাড়ায় ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতির উদ্রেগ হয়েছে৷ মনু নদীর জল স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা৷ বৃষ্টিতে বাড়ি ঘরে জল ঢুকে অবস্থা শোচনীয় আকার ধারন করেছে৷ পাহাড়ী এলাকায় প্রবল বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এই বিষয়ের উপর নজর রেখে চলেছে প্রশাসন৷

বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে উদ্ধারের ব্যবস্থা৷ একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রাথমিক ভাবে সহায়তা প্রদান করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ এদিকে, ফের একবার পাপের খেসারত বহন করতে হল পৌর বাসিকে৷ শুক্রবার সকাল থেকে হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টির ফলে জল মগ্ণ হয়ে পড়েছে আগরতলা পুর নিগমের বিভিন্ন এলাকা৷রাজধানী আগরতলার শকুন্তলা রোড, রবীন্দ্র ভবন, আর এম এস চৌমুহনী সহ বিভিন্ন জায়গা জল মগ্ণ হয়ে পড়েছে৷ তবে তার জন্য শুধুমাত্র আগরতলা পুর নিগম দায়ী তা নয়৷ আগরতলা পৌর নিগমের পাশাপাশি নিগম এলাকায় বসবাসকারী একাংশ মানুষও তার জন্য দায়ি তা বলা বাহুল্য৷ আগরতলা পৌর নিগমের বেহাল জল নিষ্কাশনি ব্যবস্থার ফলে হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ তার চেয়ে বড় বিষয় যত্রতত্র প্লাস্টিকের বোতল সহ অপচনশীল বর্জ্য ফেলার ফলে এই সকল বর্জ্য নিগম এলাকার নিষ্কাশনি ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করে দেয়৷ এতে করে অতি দ্রুত নিগম এলাকার রাস্তাঘাট জলমগ্ণ হয়ে পরে৷ শুক্রবারও একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়৷
এইদিনের সামান্য বৃষ্টিতে নিগম এলাকার বহু রাস্তায় হাঁটু সমান জল জমে যায়৷ নিগম বাসিদের আশঙ্কা ভারি বর্ষণ হলে বিগত বছরের ন্যায় এই বছরও নিগমের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ণ হয়ে পড়বে৷ যদিও নিগমের সাফাই কর্মীদের বক্তব্য প্লাস্টিকের বোতল ও অপচনশীল বর্জ্য নিগম এলাকার নিস্কাশনি ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করে দেয়৷ ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ণ হয়ে পরে নিগম এলাকার বহু রাস্তা৷ তবে, হাঁসফাঁস গরমের মাঝে শুক্রবার সকাল থেকে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি, স্বস্তি ফিরিয়ে আনল জন জীবনে৷ গত বেশ কয়েকদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত গরমের ফলে এক অসহনীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল৷ মাত্রাতিরিক্ত গরমের ফলে মানুষ একপ্রকার নাজেহাল হয়ে পড়েছিল৷ এই গরমে একটু স্বস্তির সন্ধানে ছিল সাধারণ মানুষ৷ এরই মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টি৷ সকাল থেকে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে জন জীবনে৷ সাধারণ মানুষের বক্তব্য বৃষ্টি নেমে আসায় ভালো হয়েছে৷ হাঁসফাঁস গরম অসহনীয়৷ বৃষ্টি হলে ভালো৷ বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাটে জল থাকে তারপরও বৃষ্টি ভালো৷

