BRAKING NEWS

এনজিটি-র নির্দেশ পালনে কড়া বার্তা, পুর নিগমের সমস্ত ওয়ার্ডে বর্জ্য সংগ্রহ শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জুন ৷৷ রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশে নড়েচড়ে বসেছে আগরতলা পুরনিগম৷ মঙ্গলবার থেকে শুরু হল বাড়ি বাড়ি বর্জ্য সংগ্রহের বিশেষ উদ্যোগ৷ মূলত, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)-এর আদেশ পালনেই এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে৷

পুরনিগমের মেয়র ড় প্রফুল্লজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৬টি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ এখন সমস্ত ওয়ার্ডে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে৷ আজ আগরতলা পুরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ পুর নিগমের কমিশনার ড় শৈলেশকুমার যাদব ওই ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহের সূচনা করেছেন৷ এই ওয়ার্ডে পুরুষ স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী সমস্ত ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ করবেন৷ ড় যাদব জানিয়েয়েছেন, বাকি ওয়ার্ডগুলিতে মহিলারা এই কাজের দায়িত্বে রয়েছেন৷

ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ মার্চের মধ্যে আগরতলায় বাড়ি বাড়ি বর্জ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল৷ শুধু তাই নয়, পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য আলাদাভাবে সংগ্রহেরও নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শুধু ৬টি ওয়ার্ডে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল৷ ফলে, ত্রিপুরা সরকার ট্রাইব্যুনালের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন জানায়৷ নির্দেশ মেনেই ৩০ জুনের মধ্যে আগরতলায় সমস্ত বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে, মুচলেকা দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত সময় মঞ্জুর করে৷ সেই মোতাবেক ত্রিপুরা সরকার আগরতলা পুরনিগমকে অন্তিম সময়সীমা বেঁধে দেয়৷ অবশ্য তার আগেই রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে সারা রাজ্যে বিভিন্ন শহরে এ-বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে৷

আজ পুরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে পুরুষ স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি বর্জ্য সংগ্রহের সূচনা করে পুর কমিশনার ড় যাদব বলেন, আগরতলা শহরকে জঞ্জালমুক্ত রাখতে এই উদ্যোগ খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ৷ তাঁর পরামর্শ, প্রতিদিন সকাল ৬টায় মানুষের বাড়ি পৌঁছে যেতে হবে৷ কেউ আবর্জনা দিতে না চাইলে তাঁদের বোঝাতে হবে এবং অবশ্যই বর্জ্য সংগ্রহ করতে হবে৷ তাঁর কথায়, প্রতি মাসে বর্জ্য সংগ্রহের বিনিময়ে প্রত্যেক বাড়ি থেকে ৫০ টাকা আদায় করতে হবে৷ এমনও হতে পারে, ওই টাকা দিতে রাজি নন, তাই কেউ কেউ আবর্জনা দিতে আপত্তি করতে পারেন৷ তাঁদের বুঝিয়ে বলতে হবে, বিনামূল্যেই আবর্জনা সংগ্রহে আমরা প্রস্তুত৷

পুর কমিশনার আজ সাফ বুঝিয়ে দেন, পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য আলাদাভাবে সংগ্রহ করতে হবে৷ পুরবাসীদের সে বিষয়ে সঠিক ধারণা দিতে হবে৷ তিনি বলেন, সঠিক পদ্ধতি মেনে আবর্জনা সংগ্রহ করলে তবেই এই উদ্যোগ সফলতা পাবে৷ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আগরতলা শহরকে স্বচ্ছ করে তুলবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *