এক পশলা বৃষ্টিতেই তিলোত্তমা নগরী জলমগ্ণ, দ্রুত জল নিষ্কাশন আপাতত সম্ভব নয় : মেয়র

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জুন৷৷ সোমবার সকালে ভারী বৃষ্টিপাতের জমা জলে ডুবে গেছে আগরতলা৷ সপ্তাহের শুরুতেই ত্রিপুরার রাজধানী শহর জলমগ্ণ হয়ে পড়ায় নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি নাগরিককুল বেজায় সমস্যায় পড়েছেন ৷ বিশেষ করে অফিসযাত্রীদের আজ নাকাল হতে হয়েছে৷ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ সকালে ১৪২ এমএম বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ এদিকে, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দাবি করেছেন, বৃষ্টি থেমে যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই শহরের রাস্তা থেকে জল নেমে গিয়েছে৷


রবিবারের ছুটির আমেজ কাটিয়ে সোমবার বৃষ্টিভেজা সকাল দিয়েই সপ্তাহ শুরু হল৷ আজ ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে বৃষ্টি শুরু হয় ৷ ভারী বর্ষণে সুকলপড়ুয়া কচিকাঁচারা বিপাকে পড়ে ৷ ভোরের বৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল না ৷ ঝিরঝিরে বৃষ্টি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অবিরাম পড়তে থাকে ৷ তার পর কিছুক্ষণ বিরাম দিয়ে সকাল সাড়ে আটটা থেকে মুষলধারে শুরু হয় বৃষ্টিপাত ৷ ওই বৃষ্টি আগরতলার বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ণ হয়ে পড়ে ৷ তার আগেই অবশ্য কিছু কিছু স্থানে রাস্তায় জল জমে গিয়েছিল ৷
এদিন বনমালিপুর, থানা রোড, চন্দ্রপুরে অসম-আগরতলা জাতীয় সড়ক, প্যারাডাইস চৌমুহনি, আরএমএস চৌমুহনি, মন্ত্রীবাড়ি রোড, জ্যাকশন গেইট, আইতরমা, উত্তর গেইট, বিদুরকর্তা চৌমুহনি-সহ বিভিন্ন স্থানে গলিপথে প্রচণ্ড জল জমে যায়৷ তাতে, নিত্যযাত্রীরা বেজায় সমস্যায় পড়েন৷ বিশেষ করে আইজিএম হাসপাতালের যাওয়ার রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় রোগীদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে পরিবারের সদস্যদের৷


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ছিল৷ আজ সকালে ১৪২ এমএম বৃষ্টিপাত হয়েছে ত্রিপুরায়৷ তাছাড়া, দিনভর আকাশে মেঘ জমে থাকবে৷ শুধু তাই নয়, ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বাতাস বয়ে যাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাতেরও অনুমান করা হচ্ছে৷ সারা রাজ্যেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের জনৈক আধিকারিক৷


এক পশলা বৃষ্টিতেই তিলোত্তমা নগরী জলমগ্ণ হয়ে পড়ার সমস্যা দীর্ঘদিনের৷ এ-বিষয়ে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ড় প্রফুল্লজিৎ সিনহার বক্তব্য, শহরে বৃষ্টি হলে জল জমবেই৷ কিন্তু, কত তাড়াতাড়ি জল নামানো যায় সে-দিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি৷ তাঁর কথায়, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের সমস্যার কারণে পাম্পগুলি সঠিকভাবে চালানো যাচ্ছে না৷ তাই জল নিষ্কাশনে জল জমে যায়৷


তাঁর মতে, আগরতলা শহরে সবগুলি পাম্প একত্রে চালানো গেলে জল নিষ্কাশনে অনেক কম সময় প্রয়োজন হতো৷ তিনি জানান, আগরতলায় এই মুহূর্তে ১৩টি পাম্প জল নিষ্কাশনে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, যতদূর খবর পেয়েছি, বৃষ্টি থেমে যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে রাস্তা থেকে জল নেমে গিয়েছে৷ তবে, এর থেকে কম সময়ে জল নিষ্কাশন আপাতত সম্ভব নয় বলেও তিনি সাফ জানিয়েছেন৷