নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ জুন ৷৷ রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন সুদীপ রায়বর্মণ ৷ এ-বিষয়ে শনিবার তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারিনি হয়তো, তাই মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছি ৷ তবে বিজেপি-র সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব ৷ পার্টি যে দায়িত্ব দেবে তা নিষ্ঠার সাথে পালন করব৷

আজ তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার বিষয়ে সরকারিভাবে আমাকে কিছু জানানো হয়নি ৷ তবে বিভিন্ন খবরের কাগজ এবং বৈদ্যুতিন চ্যানেলে প্রকাশিত ও সম্প্রচারিত সংবাদে বিষয়টি জানতে পেরেছি৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় সরকার গঠন হওয়ার পর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালনে সবরকম চেষ্টা করেছি৷ তবুও মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারিনি ৷ তাই হয়তো আমাকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সুদীপ বর্মণ মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ৷
সুদীপ বর্মণ বলেন, মন্ত্রিসভা গঠন এবং তাতে রদবদলের সম্পূর্ণ এক্তিয়ার একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর৷ সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন আমাকে সরিয়ে ওই দফতরগুলি তিনি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন৷ তাই তিনি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
সুদীপ রায়বর্মণ জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হলেও তিনি বিজেপি-তে এখনও রয়েছেন৷ তাই বিজেপি-র বিধায়ক হিসেবেই তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন৷ তাঁর দাবি, দলের সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে যে-কোনও দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন৷
এদিকে, দল কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তাঁর কোনও মতানৈক্য নেই বলে দাবি করেন সুদীপ রায়বর্মণ৷ তাঁর কথায়, দলবিরোধী কাজ করেছি, এমন কোনও প্রমাণ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে দিতে পারবেন না ৷ তাঁর দাবি, দলের সাথে কোনও দূরত্বও তৈরি হয়নি, ফলে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কাজ করেছি বলে মনে করতে পারছি না ৷ তাঁর সাফ কথা, দলবিরোধী কাজ করে থাকলে পার্টির তরফে নিশ্চয়ই আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হত৷
তাঁর দাবি, অহেতুক অনুমান করে দলের সাথে তাঁর দূরত্ব তৈরি করা সম্ভব হবে না৷ তাঁর সাফ কথা, বিজেপি কর্মী পরিচয়ে আছি৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ণ পূরণে অংশীদার হয়েছি৷ সেই লক্ষ্যে পৌঁছনো পর্যন্ত বিজেপি-র কর্মী হিসেবেই লড়াই জারি রাখব৷