পিয়ংইয়ং, ৩১ মে (হি.স.) : ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জঙ উনের শীর্ষ বৈঠক ভেস্তে যেতে দেশের শীর্ষ কূটনীতিককেই খতম করল কিম জঙ প্রশাসন। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক বৈঠকে তিনি নাকি দেশের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। একই সঙ্গে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে হত্যা করা হল উত্তর কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের আরও চার কর্তাকে।
বৃহস্পতিবার রাতে এই খবর প্রকাশ হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্নে আমেরিকা তথা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দৌত্যের জন্য এ বছরের গোড়ায় কিম হোক চোল-কে নিয়োগ করেছিল পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার অভিজাত পরিবারের সন্তান কিম হোক বরাবরই কেরিয়ার ডিপ্লোম্যাট। এর আগে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসাবে স্পেনে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নীতির কারণে মাদ্রিদ তাঁকে বহিষ্কার করে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্যৌত্যের জন্য তাঁর উপরে ভরসা করেছিলেন কিম জঙ।
আমেরিকার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আলোচনার গতি মন্দ ছিল না। তা ছাড়া উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের জন্য ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আগ্রহও অসীম। কিন্তু কূটনীতিকরা মনে করেন, পরিবর্তে উত্তর কোরিয়া অনেক কিছু চেয়ে বসছিল। তাদের উপর যে সব নিষেধাজ্ঞা আমেরিকা আরোপ করে রেখেছিল, তা প্রত্যাহারের যেমন দাবি জানায় পিয়ংইয়ং, তেমনই আবার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্নে যে পদক্ষেপগুলি করার কথা বলছিল তাও ওয়াশিংটনের কাছে সন্তোষজনক ছিল না। ফলে ফেব্রুয়ারি মাসের শীর্ষ সম্মেলন ভেস্তে যায়।