কলকাতা, ৩১ মে (হি.স.): দলের সংগঠন নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার কোর কমিটির বৈঠকে বসেছে ঘাসফুল শিবির| এদিন বেশ কিছু পদের রদবদল করেন তৃনমূল সুপ্রিমো| লোকসভা নির্বাচনের মর্মান্তিক ফল ঘোষণার পর এই প্রথম আজ কোর কমিটির বৈঠকে বসছে তৃণমূল। এদিনের বৈঠকে সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবারের কোর কমিটির বৈঠকে মূলত সাংগঠনিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে আলোচনা হয়। বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে শক্ত করার প্রয়োজন অনুভূত করেছে শাসকদল। এদিন মালদার পর্যবেক্ষক করা হয় সাধন পান্ডে ও গোলাম রব্বানীকে| আদিবাসী উন্নয়ন কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয় উমা সোরেনকে| নদীয়ার দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত মন্ডলকে। তাঁর জায়গায় পর্যবেক্ষক হলেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়| সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব পেলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী|
অপরদিকে, ‘জয়হিন্দ’ বাহিনীর চেয়ারম্যান নিয়োগ করেন ব্রাত্য বসুকে। ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন৷ সেই সঙ্গে সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বঙ্গজননীর সভাপতি করা হয় কাকলী ঘোষ দস্তিদারকে| এদিন মমতা জনান, জয়হিন্দ বাহিনী আগেও ছিল তবে এবার এই বাহিনীকে নতুন করে সাজানো হবে| বঙ্গজননী বাহিনীর মহিলাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে তৈরী করা হবে|
পাশাপাশি এদিন জানা যায়, আগামী ৭ জুন জেলাওয়ারী বৈঠক করবে তৃনমূল| সেদিনই বৈঠক হবে হুগলি জেলা নিয়ে| যে সকল জেলায় লোকসভা নির্বাচনের ফল ভালো হয়নি সেই সব জায়গায় বৈঠক হবে| ভোটে খারাপ ফলের কারণ খতিয়ে দেখা হবে| ঘুরে দাড়ানোর বার্তা দেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী| একই সাথে ভোটার তালিকা নিয়েও এখনই কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়|
তাছাড়া, আগামী দিনে দলীয় কর্মীদের কী বার্তা দেবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাও ঠিক হয় এদিনের কোর কমিটির বৈঠকে। দলের সংগঠনের কোথায় আলগা রয়েছে, কোথায় বন্ধন শক্ত করতে হবে, বিজেপির মেরুকরণের মোকাবিলা কীভাবে করা যায় এসব নিয়েও আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক-স্তরে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে| সপ্তদশ লোকসভায় কার্যত মুখ থুবরে পরেছে তৃণমূল| ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে যেভাবে একের পর এক নেতা,মন্ত্রী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছে, তা যে যথেষ্ট চিন্তার, সেকথা মুখে স্বীকার না করলেও বেশ ভালই টের পাচ্ছে তৃণমূল| বিজেপির আগ্রাসনের সামনে এখন অনেকটাই রক্ষণশীল তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে সংগঠনকে চাঙ্গা করেই একমাত্র বিজেপির মোকাবিলা সম্ভব এমনটাই মনে করছে শাসক শিবিরের একাংশ।