নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ মে৷৷ ফ্যাকাল্টির অভাব এবং গুনমানে ঘাটতির কারণে রাজ্যের তিনটি পলিটেকনিক কলেজে অনুমোদন সম্প্রসারণে স্বীকৃতি দেয়নি এআইসিটিই৷ কিন্তু, রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্যাকাল্টি নিয়োগ এবং গুনমান বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ওই তিনটি কলেজেও এআইসিটিই অনুমোদন সম্প্রসারণ করছে৷ মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাাথ৷
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ছয়টি পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে৷ ধর্মনগর, উদয়পুর ও খুমুলুঙ পলিটেকনিক কলেজ নিয়ে কোন সমস্যা নেই৷ কিন্তু, টিআইটি, মহিলা পলিটেকনিক এবং ধলাই পলিটেকনিকের অনুমোদন সম্প্রসারণ করতে চাইছিল না এআইসিটিই৷
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর কলকাতায় এআইসিটিইর স্ক্রুটিনি কমিটি ওই তিনটি কলেজের আসন সংখ্যা ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমানোর সুপারিশ করেছিল৷ কারণ, ওই কলেজগুলিতে ফ্যাকান্টির ঘাটতি রয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, ছয়টি পলিটেকনিকে ৯৪ জন ফ্যাকাল্টির প্রয়োজন রয়েছে৷ সেই জায়গায় মাত্র ২৯ জন ফ্যাকাল্টি বর্তমানে রয়েছেন৷ পাশাপাশি পলিটেকনিক কলেজের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোতেও ঘাটতি রয়েছে৷ তাই এআইসিটিই ওই তিনটি কলেজের অনুমোদন সম্প্রসারণ করবে না বলে রাজ্য সরকারকে গত ১লা জানুয়ারী চিঠি পাঠায়৷
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সঙ্গে সঙ্গে এআইসিটিইকে চিঠি পাঠিয়ে ওই তিনটি কলেজের অনুমোদন সম্প্রসারণের অনুরোধ জানানো হয়৷ সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফ্যাকাল্টি এবং পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুিতিও দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু, এআইসিটিই তাদের সিদ্ধান্তে আংশিক বদল করে ধর্মনগর পলিটেকনিকের ১০ শতাংশ আসন কমিয়ে দেয়৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ফের এআইসিটিইর কাছে অনুরোধ জানায় আসন সংখ্যা একই রাখার জন্য৷ পাশাপাশি শীঘ্রই ফ্যাকাল্টি নিয়োগ করা হবে বলে ফের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়৷ অবশেষে এআইসিটিই তাদের সিদ্ধান্ত বদল করে ধর্মনগর পলিটেকনিকেও আসন সংখ্যা একই রাখাতে অনুমোদন দিয়েছে এআইসিটিই৷
এদিকে, ইঞ্জিনিয়ারীং কলেজে ৫টি কোর্সে এনবিএএর স্বীকৃতি মিলেছে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স, মেকানিকেল, সিভিল এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারিংয়ে এনবিএ-এর স্বীকৃতি মিলেছে৷