নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ মে৷৷ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এনএলএফটি বিশ্বমোহন গোষ্ঠির দুই বৈরী আত্মসমর্পণ করেছে৷ বাংলাদেশের মন্দারিছড়া বৈরী ক্যাম্প থেকে তারা ধলাই জেলার গণেশ বিওপি’র জওয়ানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন৷ তাদের সাথে ৮৪৭ গ্রাম বিস্ফোরক ছিল৷
নিষিদ্ধ ষোষিত বৈরী সংগঠন এনএলএফটি-র লেন্স কর্পোরাল পরেশ দেববর্মা(৪৭), তার স্ত্রী প্রেমিতা দেববর্মা(২২), ১০ মাসের পুত্র সন্তান রাহুল দেববর্মা এবং এসএস প্রাইভেট সিপাহী দ্বিপেনজয় ত্রিপুরা(২৩), স্ত্রী কর্জবালা ত্রিপুরা(২০), ১৪ মাসের পুত্র সন্তান জুবান ত্রিপুরাকে নিয়ে বিএসএফ-এর ডিআইজি সিন্ধু কুমারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে৷ তাদের সাথে ৮৪৭ গ্রাম বিস্ফোরক এবং ৩.৮৫ মিটার ফিউজ উদ্ধার হয়েছে৷
বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জিব কুমার জানিয়েছেন, পরেশ দেববর্মার বাড়ি মান্দাইয়ের বালুধূম পাড়া এবং দ্বিপেনজয় দেববর্মার বাড়ি ধলাই জেলার গঙ্গানগরে৷
আত্মসমর্পণকারী দুই বৈরী বিএসএফ-কে জানিয়েছে, তারা ২০০০ এবং ২০০৬ সালে এনএলএফটি সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়েছে৷ কিন্তু, এখন তারা নিজেদের ভুল বুঝতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইছে৷
বিএসএফ আধিকারিকের কথায়, বাংলাদেশের গোপন ঘাঁটি থেকে প্রতিনিয়ত বৈরীরা আত্মসর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাচ্ছে৷ বিএসএফ বৈরীতার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করছে৷ ফলে, রাজ্যে এখন বৈরী গতিবিধি বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ কারণ, তারা একদিকে বাংলাদেশের ঘাঁটিতে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে৷ অন্যদিকে, সীমান্তে কড়া পাহাড়ার জন্য তারা এরাজ্যে ঢুকতে পারছে না৷ তাই, আত্মসমর্পণ ছাড়া কোন পথ খোলা নেই তাদের কাছে, বলেন বিএসএফ আধিকারিক সঞ্জিব কুমার৷ আত্মসমপর্ণকারী দুই বৈরী জানিয়েছে, সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷