নয়াদিল্লি, ২৩ মে (হি.স.) : বারাণসীতে ইতিমধ্যেই রেকর্ড ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির শালিনী যাদবকে চার লাখ আশি হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। মোদী বারাণসী কেন্দ্র থেকে এবার ৬,৭৪,৬৬৪ ভোট পেয়েছেন। শালিনী যাদব পেয়েছেন ১,৯৫,১৫৯টি ভোট। গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৩,৭১,৭৮৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে ছিলেন।
নির্বাচনী ফলাফল ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের দিল্লির মসনদে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪-র ফলাফলকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এনডিএ। বিজেপি একাই প্রায় তিনশোর পাশাপাশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিপুল জয়ের দিনে কী বলেন মোদী, সেদিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী প্রথম প্রতিক্রিয়ায় নতুন কোনও চমক দেন কিনা সেটা দেখতে মুখিয়ে ছিল দেশ।
বিপুল জয়ের দিনে নতুন কোনও চমক দিলেন না নরেন্দ্র মোদী। বরং চেনা ছন্দে তিনি সবাইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন। সবকা সাথ-সবকা বিকাশের বুলি আরও একবার আওড়ালেন নরেন্দ্র মোদী। আত্মবিশ্বাসী মোদীর দাবি, সবকা সাথ-সবকা বিকাশের বুলি দিয়েই তিনি সবার বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছেন। আর সেকারণেই সবকা সাথ-সবকা বিকাশের সঙ্গে যুক্ত হল নতুন স্লোগান সবকা বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই তিনের সম্মেলনেই ভারত বিজয়ী হবে। প্রধানমন্ত্রী টুইট বার্তায় বললেন, ‘একসঙ্গে আমরা বৃদ্ধি পাব। একসঙ্গে আমরা এগোব। একসঙ্গে আমরা শক্তিশালী এহং সম্মিলিত ভারত তৈরি করব।’
নরেন্দ্র মোদী সবাইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেও, জয়ের দিনে বিরোধীদের একহাত নিতে ভুললেন না বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বললেন, এই ফলাফল বিরোধীদের করা অপপ্রচার, মিথ্যা, ব্যক্তিগত আক্রমণ, এবং দিকভ্রষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে ভারতের জনাদেশ। এই ফলাফলে প্রমাণিত হল ভারতের মানুষ জাতিবাদ, পরিবারতন্ত্র, তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলেছে এবং বিকাশবাদ আর দেশপ্রেমকে জিতিয়ে দিয়েছে। ভারতকে আমি প্রণাম জানাই।