নয়াদিল্লি, ২৩ মে (হি.স.) : ১১ কোটি বিজেপি কর্মী এবং ১২৫ কোটি দেশবাসীর জন্য এই জয় সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সামনে কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে এমনই দাবি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এই জনাদেশ থেকে স্পষ্ট দেশবাসী পরিবারতন্ত্র, জাতপাত এবং তোষণের রাজনীতিকে খারিজ করে দিয়েছে। বিজেপি কর্মীরা সফল ভাবে সবকা সাথ সবকা বিকাশের দর্শনকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে সফল হয়েছে।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে অমিত শাহ বলেন, দেশের ২১ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে খাতাই খুলতে পারেনি কংগ্রেস। এদিন নিজের ভাষণে যেমন কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে মোদী সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই এই সাফল্য বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, স্বাধীনতার পর এটাই সবচেয়ে বড় জয়। তাই এটা সকলের জন্য গৌরবময় বলেই তিনি দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মোদী ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। এনডিএ পেয়েছিল ৩০০-র বেশি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ২৮২টি আসন। যদিও এর পর একাধিক উপ-নির্বাচনে হারতে হয়েছে বিজেপিকে। সব মিলিয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ২৭২-এ।
ফলে এবার জল্পনা ছিল বিজেপি কেমন ফল করে তার উপর। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের দাবি ছিল, শক্তি কমিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। মোদীর দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া অসম্ভব ছিল বলেই ওই মহলের দাবি ছিল।
বাঙ্গাল কী অন্দর, বাঙ্গাল কী অন্দর, বাঙ্গাল কী অন্দর…। এক বার নয়, বারবার একই কথা উচ্চারণ করলেন অমিত শাহ। আর কর্মী সমর্থকদের মধ্য থেকে উঠে এল উল্লাশ ধ্বনী। আর সেই উল্লাস ধ্বনীকে উস্কে দিতে বাক্য শেষ করার আগে ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনী তুললেন অমিত শাহ। তৈরি করলেন এক নাটকীয় পরিবেশ। আর তার পরেই তাঁর গলা থেকে শোনা গেল বাংলার বিধানসভা দখলের হুঙ্কার।
পশ্চিমবঙ্গের ফল নিয়ে উল্লসিত বিজেপি। ২ থেকে ১৮ আসনে পৌঁছে যাওয়ার উল্লাস খোদ দিল্লিতে। খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর গলায়। এদিন গোটা দেশের ফল প্রকাশের পরে সদর দফতর থেকে কর্মী, সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন অমিত। আর তাতে বাংলার জন্য আলাদা করে সময় দিলেন বিজেপি সভাপতি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও ওই বিজয় সমাবেশে হাজির ছিলেন বিজেপি সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। আর হাজির ছিল হাজারে হাজারে বিজেপির কর্মী সমর্থক। আর তাদের সামনেই অমিত শাহ অন্ধ্র প্রদেশে সরকার গঠনের জন্য জগন রেড্ডি, ওড়িশায় নবীন পট্টনায়ক, সিকিমের পবন চামলিং এবং তাদের দলকে অভিনন্দন জানালেন। কিন্তু তার জন্য সব মিলিয়ে যে সময় তিনি খরচ করেছেন তার থেকে বেশ সময় দিলেন বাংলাকে। বুঝিয়ে দিলেন বাংলা বিজেপির কাছে অন্য কিছু হয়ে উঠেছে নির্বাচনের এই ফলে।
এদিন অমিত শাহ বলেন, লোকসভায় ১৮টি আসন আর বিধানসভা উপনির্বাচনে পাঁচটি আসন জয় বুঝিয়ে দিয়েছে এবার বাংলার ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। সেই সঙ্গে এই রাজ্যে ৮০ জন বিজেপি কর্মীর কথাও স্মরণ করেন অমিত শাহ
পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসায় যে ৮০ জন বিজেপি কর্মীদের খুন করা হয়েছে, তাও উল্লেখ করেন বিজেপি সভাপতি।