অগ্ণি নির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে আগরতলার শপিং মল নার্সিং হোম সহ তেরটি সংস্থাকে নোটিশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ মে৷৷ রাজধানী আগরতলা শহরে যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, নার্সিং হোক, শপিং মল সহ অন্যান্য সংস্থায় অগ্ণিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে হাইকোর্ট৷ ১৩টি সংস্থাকে আগামী ৭দিনের মধ্যে এব্যাপারে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ সন্তোষজনক জবাব না পেলে ঐসব সংস্থাগুলির ঝাঁপ চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷


দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন শহরে ভয়ঙ্কর অগ্ণিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী আগরতলা শহরেও অগ্ণি নির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত উচ্চ আদালত৷ উচ্চ আদালত এব্যাপারে একটি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলা গ্রহণ করে অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিল আগরতলা শহরের বিভিন্ন ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান নার্সিং হোম, শোরুম, হোটেল সহ অন্যান্য শপিংমল গুলিতে সঠিক অগ্ণিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে আদালতে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করার জন্য৷ আদালতের নির্দেশে অগ্ণিনির্বাপক দপ্তর আগরতলা শহর এলাকায় ৬১টি বাণিজ্যিক সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিল৷ এর মধ্যে ২০টি সংস্থাকে অগ্ণিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকায় বৈধ অনুমতি পত্র প্রদান করেছে৷ আরও ১৩টি সংস্থা অগ্ণিনির্বাপক আইন মেনে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে৷ তাদেরকেও বৈধ অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ ১২টি সংস্থা অগ্ণিনির্বাপক ব্যবস্থা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য সময় চেয়েছে৷

তাদেরকেও সময় দেওয়া হয়েছে৷ ১৩টি সংস্থা কোন উত্তর দেয়নি৷ দুটি সংস্থা উচ্চ এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছে৷ যেসব সংস্থা উত্তর দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বুধবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেয়৷ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতের কাছে অনুরোধ জানান, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের মতামত জানার আরও সাতদিন সময় দেওয়া হোক৷ অ্যাডভোকেট জেনারেলের অনুরোধে সাড়া দিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তাদেরকে সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জবাব দিতে নির্দেশ জারি করেছেন৷


অপরটিকে সোনার তড়ি হোটেল ও এমএল প্লাজার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল৷ তারা অগ্ণিনির্বাপক ব্যবস্থ অনেকটাই সংশোধন করেছেন৷ তবে এখনও সম্পূর্ণ হয়নি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *