কমলাসাগরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা ফেরার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির অভিযুক্তরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ মে৷৷ সিপাহিজলা জেলার অন্তর্গত কমলাসাগর বিধানসসভা এলাকার মধুপুর থানাধীন ব্রজেন্দ্রনগরে জনৈক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে৷ হতভাগ্য গৃহবধূকে অনুমতি সরকার বলে পরিচয় পাওয়া গেছে৷ঘটনার বিবরণ দিয়ে এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার রাত তখন আনুমানিক দুটো৷ তাঁরা কোনও নারী কণ্ঠের আর্ত চিৎকার শুনে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে দেখেন একটি গাছে বাধা মহিলার শরীর আগুনে পুড়ছে৷ এগিয়ে গিয়ে তাঁরা অনুমতি সরকারের শরীরের আগুন নিভিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি৷

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গৃহবধূ অনুমতি৷ তাঁর শরীরের প্রায় পঁচানববই শতাংশ পুড়ে গেছে৷ প্রতিবেশীদের অভিযোগ, অনুমতি সরকারকে পরিকল্পিতভাবে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা হত্যা করেছে৷ তাঁরা বলেছেন, গৃহবধূ অনুমতির সঙ্গে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকেদের প্রায় সময় ঝগড়া হত৷ এমনকি ঘটনার দিন রাতেও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে৷ প্রতিবেশীরাও ধারণা করছেন, যৌতুকের জন্যই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে৷এদিকে নিহতের বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে অনুমতির শ্বশুর, শাশুড়ি ও দুই দেবরের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত খুনের অভিষোগ তোলা হয়েছে৷ অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা৷ সে নাকি সব কথা ইতিপূর্বে তাঁদের বলেছে৷ঘটনার খবর পেয়ে মধুপুর থানার পুলিশ বুধবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে অনুমতি সরকারের মৃত্যু সংক্রান্ত ঘটনার তথ্য লিপিবদ্ধ করেছে৷ তাঁর মৃতদেহ সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যায় পুলিশ৷

কোনও অভিযুক্তকে পুলিশ বাড়িতে পায়নি৷ সবাই ফেরার৷ তবে তাদের আটক করতে জাল বিছানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের তদন্তকারী অফিসার৷ তিনি জানান, নিহত অনুমতির বাপের বাড়ির এজাহারের ভিত্তিতে এক মামলা মামলা রুজু করা হয়েছে৷