নয়াদিল্লি, ৭ মে (হি.স.) : দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের বাইরে আইনজীবী ও মহিলা সমাজকর্মীরা তুমুল বিক্ষোভের জেরে জারি করা হল ১৪৪ ধারা৷ মঙ্গলবার সকাল থেকেই শীর্ষ আদালতের বাইরে আইনজীবী ও মহিলা সমাজকর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ তাঁদের অভিযোগ, সঠিক তদন্ত না করেই শ্লীলতাহানির ঘটনার অভিযোগ থেকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে৷
এর আগে, ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলা (জুনিয়র কোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট) সুপ্রিম কোর্টে ২২ বিচারপতিকে তাঁর অভিযোগের কথা লিখিত জানান৷ সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ওই মহিলার অভিযোগ ছিল, গত বছর ১০ এবং ১১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তাঁর বাসভবনে ওই মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেন৷ ওই মহিলার অভিযোগ অনুযায়ী, তাকে আলিঙ্গন করে তার ওপর জোরজবরদস্তি করা হয়৷ সে চলে যেতে চাইলেও তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি৷ কভারিং লেটারে একটি এফিডেভিটে বিস্তারিত অভিযোগে জানান ওই মহিলা৷
তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি৷ সেক্রেটারি জেনারেল সঞ্জীব কুমার সুধাকর কালগাঁওকর বলেন, এই অভিযোগ গগৈয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আনা হয়েছে৷ এগুলির কোনও ভিত্তি নেই৷ এই অভিযোগ থেকেই সোমবার ক্লিনচিট পান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি৷ তিন বিচারপতির প্যানেল তাঁকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়৷ গগৈয়ের বিরুদ্ধে যে প্যানেল বসে তাতে ছিলেন তিন বিচারপতি৷ বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই মামলার শুনানিতে তিন বিচারপতিই গগৈকে ক্লিনচিট দেন৷ তবে শুনানির মাঝপথে নিজেই সরে দাঁড়ান শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা ওই মহিলা৷ তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে খুশি নন তিনি বলে জানান৷ তাঁর মত ছিল এই বিচার প্রক্রিয়ায় ন্যায় মেলার সম্ভাবনা কম৷
তাঁর আশঙ্কা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগের সঠিক বিচার পাবেন না৷ তিনি জানান, ‘‘আমার মনে হয় আমি বিচারকদের এই বেঞ্চের কাছে সঠিক বিচার পাব না। তাই আমি আর এই বিচারকদের সামনে শুনানিতে হাজির হব না। আমি এই শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালাম৷’’
অভিযোগকারিণীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলা সমাজকর্মী ও আইনজীবীরা৷ তাদের দাবি তদন্তে প্রভাব বিস্তার করে সঠিক তথ্যকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে৷