নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ মে ৷৷ অল ত্রিপুরা ডিডিটি ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনে ৬ দফা দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দাবিসনদ পেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে৷ রবিবার আগরতলায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিস্তারিত তথ্য জানান৷ তারা অভিযোগ করেন, রাজ্যে কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করা হলেও ডিডিটি ওয়ার্কারদের নূ্যনতম বেতনভাতা বৃদ্ধি করা হয়নি৷
যারা দৈনিক ২০০ টাকা মজুরি পেতেন তাদের জন্য মাত্র ৮টাকা এবং যারা ২০৫টাকা বেতন পেতেন তাদের জন্যও ৮টাকা মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ এ ধরনের সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডিডিটি ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন৷ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ম্যালেরিয়া প্রবণ এই রাজ্যে ডিডিটি ছড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ মোট ১২৭২জন ডিডিটি কর্মী সারা রাজ্যে কর্মরত রয়েছেন৷ তাদের স্বার্থসুরক্ষায় রাজ্য সরকার এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর তেমন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ সে কারণেই তারা ৬ দফা দাবির আদায়ে আন্দোলনের পথে পা বাড়াচ্ছেন৷
সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় ডিডিটি ছড়ানোর কাজে যুক্ত কর্মীদের সারা বছরের জন্য কাজের ব্যবস্থা করতে হবে, বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সংহতি রেখে দৈনিক মজুরি ম্যাটদের জন্য ৫০০ টাকা এবং ওয়ার্কারদের জন্য ৪৮০ টাকা করতে হবে৷ ২০১২ সাল পর্যন্ত ডিডিটি কর্মীদের এগ্রেসিয়া দেওয়া হয়েছে৷ তারপর থেকে এগ্রেসিয়া বন্ধ হয়ে রয়েছে৷ পুনরায় তা চালু করার দাবি জানানো হয়েছে৷ ডিডিটি কর্মীদের মধ্যে যারা কাজের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন তাদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করার জন্যও দাবি জানানো হয়৷
অবিলম্বে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তারা আন্দোলনে শামিল হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷