নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ মে৷৷ ২০১৮ সালে ত্রিপুরা রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রদেশ বিজেপি তাদের ভিজন ডকুমেন্টে উল্লেখ করেছিলো, সুপ্রিমকোর্টের রায়ে চাকরিচ্যুত ১০,৩২৩ জন শিক্ষককের চাকরি আইনি পথে কী করে রক্ষা করা যায় তারজন্য সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে চেষ্টা করা হবে৷ রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু দীর্ঘ এক বছর পর ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ মন্তব্য করেছেন, ১০,৩২৩ জন শিক্ষক আগের সরকারে পাপের ফল৷ তাঁর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আগরতলায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন এই সকল শিক্ষকের একাংশ৷
তাঁদের প্রশ্ণ, এর জন্য কী তাঁরা নিজেরা দায়ী?
তাঁদের এই অবস্থার জন্য পুরাতন সরকার দায়ী৷ সব সরকার এক৷ তবু বর্তমান সরকারের উপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন তাঁরা৷ এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলো৷ তবে এখন তাঁদের চাকরি রক্ষার জন্য কাজ করছে না কেন? তাঁরা এদিন ণ্ড্র’মিশন -১০,৩২৩, অল ত্রিপুরা সরকারি ১০,৩২৩ অ্যাডহক পে শিক্ষক কর্মচারীণ্ড্র’ শীর্ষক ব্যানারকে সামনে রেখে, বুকে কাল কাপড়ের টুকরো লাগিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷
এই সকল শিক্ষকদের তরফে শ্যামলকুমার দে বলেন, সরকারে আসার আগে তাঁদেরকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো৷ কিন্তু এখন শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ এমনভাবে কথা বলছেন যেন মনে হচ্ছে নতুন গুণমানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ হলে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে৷ সেই সঙ্গে তিনি প্রপ্ণ করেন, তাঁদের যোগ্যতা নেই এ-কথা কি কেউ প্রমাণ করতে পারবে? এই সব শিক্ষকদের কারও সার্টিফিকেট জাল নয়, নম্বর হয়তো কম থাকতে পারে৷ পাশাপাশি তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকারের ওপর তাঁদের পূর্ণ আস্থা থাকলেও শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য তাঁরা কোনও অবস্থায় মেনে নিতে পারছেন না৷ আগামী দিনে তাঁদের পরিকল্পনা কী সাংবাদিকদের প্রশ্ণের জবাবে পীড়িত শিক্ষকরা বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন৷ এখন কিছু বলা সম্ভব নয়
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, পূর্বতন সরকারের সময় এই ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি হয়েছিলো৷ কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ হওয়ায় ত্রিপুরা হাইকোর্ট তাঁদের চাকরি বাতিল করে৷ পরবর্তী সময় রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলেও হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখে সবর্োচ্চ আদালত৷ এখন রাজ্যে শিক্ষক স্বল্পতার জন্য অ্যাডহক ভিত্তিতে তাঁদের চাকরিতে রাখা হয়েছে৷ বর্তমানে তাঁরা ১০,৩২৩ শিক্ষক নামে পরিচিত৷