পারিবারিক অশান্তি নেই, বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্ণই আসে না : নীতি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এ ধরনের কুৎসা প্রচার, দাবি বিপ্লব দেবের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ এপ্রিল৷৷ কুৎসা নিয়ে ভীষণ হতাশ, তাই স্বামীর সাথে আগরতলায় পৌঁছে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জায়া নীতি দেব৷ রবিবার আগরতলা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতি বলেন, আমি ত্রিপুরার মেয়ে৷ আমাকে এবং আমার স্বামীকে জড়িয়ে যেভাবে কুৎসা রটানো হচ্ছে তাতে ভীষণ আহত হয়েছি আমি৷ তাঁর কথায়, একজন মহিলার সাথে এ-ধরনের আচরণ কেউ করতে পারে, সত্যি ভাবতে পারছি না৷


নীতি আজ আবারও জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও ধরনের পারিবারিক অশান্তি নেই, ফলে তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্ণই আসে না৷ তাঁর সাফ কথা, ভুয়ো তথ্যের ভিত্তিতে একটি ডিজিটাল সংস্করণে এবং পরে তা রাজ্যের বিরোধী সিপিএম তাঁদের পারিবারিক অশান্তি সম্পর্কে মিথ্যা খবর প্রকাশ করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে৷


নীতি আজ ফের দাবি করেন, সোশাল মিডিয়ায় যে খবর প্রচার করা হচ্ছে তা মোটেও সত্য নয়৷ একাংশ রাজনৈতিক নেতা নিজেদের স্বার্থ স্বিদ্ধির জন্য এমন কুরুচিকর খবর প্রকাশ করে নিজেদের নোংরা, বিকারগ্রস্ত মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন৷ নীতি মনে করেন, এ-ধরনের অন্তঃসারশূন্য মস্তিষ্কপ্রসূত খবর কেউ বিশ্বাস করবে না৷ তাছাড়া বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্কে যে-সব তথ্য খবরের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলোকে অকাট্য ভুয়ো বলে দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেছেন নীতি৷ বলেছেন, এ-খবর প্রকাশ করে তাঁদের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার অপচেষ্টা করছে অশুভ শক্তি৷


নীতির কথায়, আমি ত্রিপুরার মেয়ে৷ তা আমি গর্বের সাথে স্বীকার করি৷ শুধু তা-ই নয়, আমি যখনই বেড়াতে যাই তখন ত্রিপুরার চিরাচরিত পোশাক পরিধান করি৷ তিনি জানান, অনেকে এই পোশাকের প্রশংসা করেন, তখন ভীষণ গর্ব হয় আমার৷
এদিকে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা নীতি দেবের স্বামী বিপ্লব দেব বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন এ-ধরনের কুৎসা৷ তবে জনবর্জিত এবং ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য কখনওই সফল হবে না বলে জোর গলায় দাবি করেন তিনি৷ সাথে যোগ করেন, থানায় একাধিক মামলা হয়েছে৷ ফলে, কেউ রেহাই পাবেন না৷


প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পত্নীকে জড়িয়ে নানা ধরনের কুৎসা প্রচার করা হচ্ছে৷ এ সম্পকে একাধিক মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে৷ পুলিশ কুৎসা প্রচারকারীদের ধরপাকরও শুরু করে দিয়েছে বলে খবর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *