গুয়াহাটি, ১৫ এপ্রিল (হি.স.) : বাংলা নববর্ষের সকালে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অসম-সহ গোটা উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তের জনজীবন। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে মণিপুরে দুই মহিলা-সহ তিনজনের অকালে প্রাণবিয়োগ ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার ভোর থেকে প্রচণ্ড ঝড়, শিলাবৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাত সংঘটিত হয় অসমের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি উত্তরপূর্বের মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশের একাংশ, নাগাল্যান্ড এবং মিজোরামে। সকাল প্রায় সাড়ে আটটা। আচমকা ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে মণিপুরের রাজধানী ইমফল এবং চূড়াচান্দপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ঝড়ে বহু বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরই মধ্যে চূড়াচান্দপুর এলাকায় এক ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। ঘরের নীচে চাপা পড়ে গৃহকর্তা-সহ এক মহিলার মৃত্যু ঘটে। অন্য ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এক গ্রামে। ওই গ্রামে ঘর ভেঙে আরেক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনা ঘর ভেঙে না বজ্রপাতে সংঘটিত হয়েছে তা এ খবর লেখা পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি।
ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ২৫টি পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে ভূপতিত হয়েছে। বহু ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঝড়। মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর সূত্রের খবরে বলা হয়েছে।এদিকে অনুরূপ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছে মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশের পূর্বাঞ্চল। এই চার রাজ্য থেকে প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে প্রভাব পড়েছে মেঘালয়ের জয়ন্তিয়াপাহাড় জেলা, নাগাল্যান্ডের কোহিমা এবং মিজোরামের কলাসিব জেলায়। জানা গেছে, মেঘালয়ে কমপক্ষে ১২ এবং মিজোরামে ২০টি ঘর হাওয়ায় উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
এদিকে অসমের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকৃতির রোষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল মধ্য ও নিম্ন অসমের বজ্রপাতে এক নাবালিকা-সহ পাঁচজনের মৃত্যুর পাশাপাশি অন্য পাঁচ ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন। আহতের মধ্যে এক শিশুও আছে। এরই মধ্যে আজ সকালে দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকার ওপর দিয়েও প্রচণ্ড বেগে ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বরাকের তিন জেলা-সহ পর্শ্ববর্তী পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ের।